।। পত্রিকা প্রকাশ ।।
।। প্রকাশনাঃ- অঙ্কুরীশা ।।
পূর্বমেদিনীপুর বালিঘাই থেকে প্রকাশিত
একটি শিশু কিশোর পত্রিকা
"টুনটুনি "
স্কুল বিষয়ক সংখ্যা
মে ২০২০
সম্পাদনায়ঃ শঙ্খশুভ্র পাত্র
প্রকাশনাঃ অঙ্কুরীশা
প্রচ্ছদঃ কমল কর
ইসকুল
অদিতি চক্রবর্তী
ছোট্টবেলার ইসকুলটা দেখতে ইচ্ছে হতেই
চড়ে বসলাম বাসে
এক বুক উচ্ছ্বাসে
ছুঁয়ে দিলাম চেয়ার
সেরেও নিলাম প্রেয়ার
চোখ বুজে মন রাঙিয়ে নিলাম যাত্রা পথেই ৷
ইসকুল
অমলেন্দু কর্মকার
চড়ে বসলাম বাসে
এক বুক উচ্ছ্বাসে
ছুঁয়ে দিলাম চেয়ার
সেরেও নিলাম প্রেয়ার
চোখ বুজে মন রাঙিয়ে নিলাম যাত্রা পথেই ৷
ইসকুল
অমলেন্দু কর্মকার
ইসকুল মন্দির আরাধনা পাঠে
শিক্ষক, দিদিমনি
সেবাইত গুরু মানি ৷
ছুটির সে ঘন্টা
আজও টানে মনটা
কত স্মৃতি ক্লাসরুমে, কত স্মৃতি মাঠে ৷
যেতে হবে ইসকুলে
অরুণ মণ্ডল
শিক্ষক, দিদিমনি
সেবাইত গুরু মানি ৷
ছুটির সে ঘন্টা
আজও টানে মনটা
কত স্মৃতি ক্লাসরুমে, কত স্মৃতি মাঠে ৷
যেতে হবে ইসকুলে
অরুণ মণ্ডল
ঘুম ভাঙতে না ভাঙতেই মায়ের হাঁকাহাঁকি
উঠে পড়ো তাড়াতাড়ি
এল বলে ইসকুল গাড়ি ৷
তৈরি হয়ে খেতে বসো
হোমটাস্ক বুঝে এসো
পছন্দ করি না মোটে পড়ায় ফাঁকি ৷
আমার প্রথম স্কুল
অরুণিমা রায়চৌধুরী
উঠে পড়ো তাড়াতাড়ি
এল বলে ইসকুল গাড়ি ৷
তৈরি হয়ে খেতে বসো
হোমটাস্ক বুঝে এসো
পছন্দ করি না মোটে পড়ায় ফাঁকি ৷
আমার প্রথম স্কুল
অরুণিমা রায়চৌধুরী
আমার প্রথম স্কুল ছিল ঢাকা শহরে
নামকরা ইসকুলই
পাড়া ছিল টিকাকুলি
মস্ত সে স্কুলধাম
কামারুন্নিসা নাম
খেলার মাঠটি ছিল তিনবিঘা বহরে ৷
ইস্কুলটি মাঠের পাশে
নামকরা ইসকুলই
পাড়া ছিল টিকাকুলি
মস্ত সে স্কুলধাম
কামারুন্নিসা নাম
খেলার মাঠটি ছিল তিনবিঘা বহরে ৷
ইস্কুলটি মাঠের পাশে
অমিয় কুমার সেনগুপ্ত
ইস্কুলটি মাঠের পাশে, উল্টো দিকে ঝিল
প্রত্যেহ যাই দলে দলে
সবাই মনের কথা বলে
শিক্ষক বেশ মানুষ ভালো,
তাঁর শিক্ষায় পাচ্ছি আলো —
আর পাচ্ছি পুষ্টিকারক খাবার মিড-ডে-মিল ৷
ইসকুল
অসীম সরকার
প্রত্যেহ যাই দলে দলে
সবাই মনের কথা বলে
শিক্ষক বেশ মানুষ ভালো,
তাঁর শিক্ষায় পাচ্ছি আলো —
আর পাচ্ছি পুষ্টিকারক খাবার মিড-ডে-মিল ৷
ইসকুল
অসীম সরকার
মাগো, আমার পেটের ব্যথা... ইসকুল যাব না,
এটা কোনও ব্যাপার নয়
ছোটবেলায় সবার হয়
ইঞ্জেকশেন-এ সারবে রোগ
তা হলে বড় দুর্ভোগ
মায়ের কথায় নকশা ছেড়ে ঝাড়া দিতাম গা ৷
এটা কোনও ব্যাপার নয়
ছোটবেলায় সবার হয়
ইঞ্জেকশেন-এ সারবে রোগ
তা হলে বড় দুর্ভোগ
মায়ের কথায় নকশা ছেড়ে ঝাড়া দিতাম গা ৷
ইচ্ছে
ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়
ইচ্ছে ওইটা আকাশ, ওইটা পাখি, ওইটা রেলগাড়ি
শিখবো ছড়া,
আঁকবো ছবি
গান গাইবো,
শিখবো সবই বানাও যদি মাঠটিকে আজ আমার নতুন স্কুল বাড়ি
আমাদের ইসকুল
উত্থানপদ বিজলী
আমাদের ইসকুল নদীটির ধার...
আমরা সবাই যাই
সাইকেলে সাঁইসাঁই
ধানখেত পাশে রেখে
পথ গেছে এঁকেবেঁকে
খেলার মাঠের পাশে ঝাউয়ের সার ৷
হেঁটে যাই
উপসনা পুরকায়স্থ
কান পাতলেই স্কুলের ঘণ্টা ঢং ঢং শুনি বাজে
টিফিন পিরিয়ড হৈ হৈ স্কুলমাঠে
অঙ্কের ক্লাসে ভয়ে ভয়ে রোজ কাটে
বেত হাতে হেডস্যার যান হেঁটে
রাম সিং দেখি এখনো দাঁড়িয়ে গেটে —
কী জানি কেন যে সেই পথে আজও হেঁটে যাই বিনা কাজে ৷
ইস্কুলে মুশকিল
কণিকা সরকার
অঙ্কের ক্লাসে ভয়ে ভয়ে রোজ কাটে
বেত হাতে হেডস্যার যান হেঁটে
রাম সিং দেখি এখনো দাঁড়িয়ে গেটে —
কী জানি কেন যে সেই পথে আজও হেঁটে যাই বিনা কাজে ৷
ইস্কুলে মুশকিল
কণিকা সরকার
হেড দিদিমনি ভীষণই খ্যাঁচার, ইস্কুলে তাঁকে দেখে লাগে ভয় ৷
জামা জুতো টাই
ফিটফাট চাই ৷
গাছেরও পাতাটা
হবে না তো কাটা
তাঁর কথা হল, না হও প্রথম, সব কাউজেতেই সেরা দিতে হয় ৷
ভূতেদের ইসকুল
কান্তিময় ভট্টাচার্য
ভূতেদের ইসকুলে কিম্ভুত মাস্টার
ইংরেজির ভাজা তেলে
ব্যাকরন দেন ফেলে
কড়া-ভাজা সব বই
তাতে দেয় টক দই
কেউ যদি ফেলে দেয় ছুঁড়ে দেয় ডাস্টার ৷
ইসকুল
গিরিধারী দাস
ইসকুলে এসে রোজ শুনি কলরব
নিষ্পাপ চোখে হাসা
কচিমুখে ফোটে ভাষা
স্কুলে আসে গুটি গুটি
খেলাধূলা, খুনসুটি
তাই দেখে যত ব্যথা ভুলে যাই সব
ইসকুলে
জিৎ মুখোপাধ্যায়
পড়াশুনো করতে ইসকুলে যেতে হবে ৷
মন দিয়ে তাই পড়ি
পড়া পারলে মাথা নাড়ি
ছেঁড়া জামা তাতে কি ?
দুঃখ চিরজীবন থাকে কি ?
ঘন্টা বাজলে কান ফাটে কলরবে ৷
প্রথম যে দিন
ছোটন সিংহ
মন দিয়ে তাই পড়ি
পড়া পারলে মাথা নাড়ি
ছেঁড়া জামা তাতে কি ?
দুঃখ চিরজীবন থাকে কি ?
ঘন্টা বাজলে কান ফাটে কলরবে ৷
প্রথম যে দিন
ছোটন সিংহ
প্রথম যেদিন ইসকুলে যাই মন খারাপের অন্ত নাই
যা দেখি তাই নতুন লাগে
বাড়ির প্রতি মনটি ভাগে,
চার দেওয়ালের অন্ধকূপে
বন্দি হয়ে কান্না ফোঁপে
ইচ্ছে করে উড়ে পালাই থাকতে চাই না জেলখানায়
স্কুল পালালে
দেবাশিষ দণ্ড
ঝিম্পি ম্যাডাম ক্লাসে ঢুকেই কাঁপতে থাকেন রাগে
বলেন হেঁকে— এই যে মিলি,
কালকে কেন পালিয়েছিলি ?
মিলি বলল — বলব, তবে
তার আগে তো জানতে হবে
রোজই কেন পালিয়ে যান ঘন্টা পড়ার আগে !
ফলাফল বিলকুল
দেবাশিস মুখোপাধ্যায়
পড়াশুনা, পড়াশুনা — না-চাই এ-ইসকুল
খেলা আর নাটকের পাট
গান আর আনন্দ-হাট
পড়া হবে আদরে ও গল্পে
হাসি মজা হবে কিছু অল্পে
তারপর দেখে নিও ফলাফল বিলকুল ৷
মুশকিলের ইসকুল
নাগ সেন
ইসকুলে যায় রোজ গুচ্ছের বালিকা
আহা তাদের কী সাজ !
ধোয় সাবানেতে হাত
পায় দুপুরের ভাত
লেখা-পড়া বরবাদ
রোজ রোজ বাড়ে দেশে অভাবিত বেকার তালিকা।
মায়ের ডাক
পঞ্চমী গোল
ছোট খুকি ছোট খোকা উঠে পড়ো ভাইবোনে
মুখ ধোও পড়ো লেখো
পাতায় পাতায় স্বপ্ন আঁকো
চান করে খেয়ে-দেয়ে
মেঠো আলপথ বেয়ে
তাড়াতাড়ি স্কুলে যাও পল্লিগাঁয়ের কোণে ৷
ইসকুল-স্মৃতি
পার্থপ্রতিম আচার্য
পেন্সিল সব উড়ে উড়ে যায়, ডাস্টার করে চিৎকার
ব্ল্যাকবোর্ডের ধারে ধারে ছবি
বিবেকানন্দ, নজরুল, রবি
রাশভারি মাথা অকপটে নড়ে
ফেলে আসা সেই ইসকুল ঘরে
স্বপ্নের সিঁড়ি, ছায়ামাখা দিন, ফিরে ফিরে আসে
বারবার ৷
ছুটির ঘণ্টা
পীযূষ কান্তি সরকার
ব্ল্যাকবোর্ডের ধারে ধারে ছবি
বিবেকানন্দ, নজরুল, রবি
রাশভারি মাথা অকপটে নড়ে
ফেলে আসা সেই ইসকুল ঘরে
স্বপ্নের সিঁড়ি, ছায়ামাখা দিন, ফিরে ফিরে আসে
বারবার ৷
ছুটির ঘণ্টা
পীযূষ কান্তি সরকার
সকাল হলেই ইস্কুলেতে যায় যে ছুটে মনটা ৷
ভয়ের সঙ্গে ভালোবাসা
ক্লাসরুমে কাটানো খাসা
দিনগুলি বেশ গেছে চলে
যাবার গল্প যায় না বলে
মুখিয়ে থাকি তাইতো কখন বাজবে ছুটির ঘন্টা ৷
ইসকুল
বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়
সাত ভোরে উঠে ঘুম-ঘুম চোখে ওরা যায় রোজ ইসকুলে।
ছোট শিরদাঁড়া পিঠে ব্যাগ ভারি
তবু ওরা ছোটে আজও তাড়াতাড়ি
কোথা যেতে চায় চলার ছন্দে
বন্ধক রেখে সব আনন্দে ?
জং-ধরা তালা কপাট-জানালা কে আছিস আজ দিস খুলে ৷
স্কুলগুলো সব অন্ধকারে
বিমল মণ্ডল
স্কুলগুলো সব অন্ধকারে ফেলছে চোখের ধারা
দিনের বেলায় চেয়ে থাকে
দূর-রাস্তার ফাঁকে-ফাঁকে
নির্জন আজ খেলারও মাঠ
শ্যাওলার জালে পুকুর-ঘাট
দিন গুনে যায় নামতা পড়ে একা-একা আত্মহারা।
ইসকুল বেলা
মানবেন্দ্র ব্যানার্জী
দিনের বেলায় চেয়ে থাকে
দূর-রাস্তার ফাঁকে-ফাঁকে
নির্জন আজ খেলারও মাঠ
শ্যাওলার জালে পুকুর-ঘাট
দিন গুনে যায় নামতা পড়ে একা-একা আত্মহারা।
ইসকুল বেলা
মানবেন্দ্র ব্যানার্জী
সময় নদে খুঁজতে থাকি ফেলে আসা দিন ৷
ডুব দিয়ে যেই উঠি ভেসে
ইস্কুল বেলা ওঠে হেসে —
চিমটি কাটে পড়াশোনা
কত ছবির আনাগোনা —
দুষ্টুমিরা সুড়সুড়ি দেয় — দিন ছিল রঙিন ৷
আমাদের ছোটো স্কুল
মিতালি রায়
ডুব দিয়ে যেই উঠি ভেসে
ইস্কুল বেলা ওঠে হেসে —
চিমটি কাটে পড়াশোনা
কত ছবির আনাগোনা —
দুষ্টুমিরা সুড়সুড়ি দেয় — দিন ছিল রঙিন ৷
আমাদের ছোটো স্কুল
মিতালি রায়
আমাদের ছোটো স্কুল গাছের ছায়ায় ৷
আলো আর হাসিতে
রোজ স্কুলে আসিতে
ভালোবাসি আমরা
সব কচি-কাঁচারা
পড়া শেষে সকলে মেতে উঠি খেলায় ৷
ইসকুল-স্মৃতি
মীনা মুখার্জী
স্নেহশীল শিক্ষক, নির্মল সখ্য পেয়েছি সে ইস্কুলে
জীবনের গুরুভাগ ইস্কুলেই কেটে যায়,
শৈশব সারল্য কৈশোরে পূর্ণতা পায় ৷
কত আড়ি-ভাব খেলা, পরীক্ষা-ভীতি,
মণিমুক্তোর মতো সেই সব স্মৃতি
ভাস্বর আজও মনে ৷ সে শিক্ষা, সখ্য কি কভু যাই ভুলে।
বিদ্যালয়ে পাঠ
রমলা মুখার্জী
জীবনের গুরুভাগ ইস্কুলেই কেটে যায়,
শৈশব সারল্য কৈশোরে পূর্ণতা পায় ৷
কত আড়ি-ভাব খেলা, পরীক্ষা-ভীতি,
মণিমুক্তোর মতো সেই সব স্মৃতি
ভাস্বর আজও মনে ৷ সে শিক্ষা, সখ্য কি কভু যাই ভুলে।
বিদ্যালয়ে পাঠ
রমলা মুখার্জী
কোমল, চপল কোরকের দল হেথায় বসে পাঠে...
দুলে দুলে পড়ে
কভু খেলা করে ৷
ওরা অদ্ভুত, ওরা চঞ্চল
হাসি-খুশিতে সদা ঝলমল ৷
সব শিশুদের আনতে হবে, বিদ্যালয়ে, মাঠে ৷
ইসকুল
রাজীব মিত্র
দুলে দুলে পড়ে
কভু খেলা করে ৷
ওরা অদ্ভুত, ওরা চঞ্চল
হাসি-খুশিতে সদা ঝলমল ৷
সব শিশুদের আনতে হবে, বিদ্যালয়ে, মাঠে ৷
ইসকুল
রাজীব মিত্র
আমরা যখন ছিলাম ছোট রোজই যেতাম ইসকুল
থাকতো না তো পিঠের বোঝা
ঝুলতো কাঁধে ব্যাগটা সোজা
পড়ার নামে সেই সেকালে
খেলাও ছিল সমান তালে
তখনকারের জীবন ছিল অনেক বেশি পিসফুল ৷
পরীর স্কুলব্যাগ
রাজেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য
ছোট্ট পরী স্কুলে যায়, ব্যাগটা ভীষণ ভারী
ভাঁজ করা এক ছাতা,
গণ্ডা তিনেক খাতা,
বই তাতে সাতখান —
ব্যাগখানা টানটান ৷
লাগছে পিঠে, হোক্ গে, মিঠে, ব্যাগ তো নিজের তারই ৷
সবুজভাষার কথা
রামকিশোর ভট্টাচার্য
সবুজভাষার কথা শিখি রোজ প্রকৃতির কাছে ভাই।
ওই ইস্কুলে কত জ্ঞান আছে
মন দিয়ে শিখি ভুলে যাই পাছে ৷
চার দেয়ালের ভিতরেও পড়ি —
তবু হক কথা বলি সরাসরি
মাঝদুপুরে যে এই ইস্কুলে পেট ভরে খেতে পাই ৷
ইসকুলে
লীনা চৌধুরী
সাতসকালে দিদির সঙ্গে যাবে খুকু ইসকুলে
বাড়ির কাজের খাতা
নয়কো সেটি যা তা
নামতাগুলো শেখা
জপছে একা একা !
চেঁচায় বাবা, কইরে তোরা ? সদর দরজা দিস খুলে।
মন ভালো নেই
শঙ্খশুভ্র পাত্র
মন ভালো নেই এসে নতুন ইসকুলে ৷
দিদিমনির রকমসকম
যায় না বোঝা ৷ বকমবকম
চলছে রোজই ৷ বাপরে ! কী দম !
তাতেই আমার স্নায়ু জখম ৷
অগত্যা তাই খুঁজছি ঠাঁই পিসফুল-এ ৷
বৃষ্টি এলে নেমে
শংকর কুমার চক্রবর্তী
মেঘের আঁচল ছেড়ে হঠাৎ বৃষ্টি এলে নেমে
জানলা ধারের কাঁঠাল পাতায়
ইস্কুলের ঠিক ছাদের মাথায়
ভিজতো বসে শালিক পাখি
আমরা তখন আচার চাখি
হেডস্যারের গলার স্বরে আমরা যেতাম ঘেমে ৷
সব দরজা দিস খুলে
শংকর দেবনাথ
গড়তে জীবন ছোট্টসোনা — পড়তে যাবে ইসকুলে
অ- য় অজগর যতই আসুক
আ- য় আমটি খাবেই পেড়ে
দীঘল ডানায় ঈগল ভাসুক
ঊষার আলো আনবে কেড়ে ৷
মুক্ত হাওয়ায় মুখ তো ভাসুক — সব দরজা দিস খুলে ৷
ফাঁকিবাজ
শাশ্বতী হোসেন
টিচার বলেন, হ্যাঁরে ন্যাপা, তোর বাড়ি তো কাছে ৷
তবু কামাই ! তোর কী ব্যাপার ?
ন্যাপা বলে, ডাইরিয়া স্যার,
ছ-বার গেলুম খাতায় লিখুন
বাথরুমে নয় গিয়েই দেখুন ৷
টিচার বলেন, ওতে কি তোর গায়ের গন্ধ আছে ?
ইস্কুল
শ্যামাপ্রসাদ ঘোষ
ইস্কুল সে তো ইংরেজি কথা, বাংলা কথাটি বিদ্যালয়
ছাত্রছাত্রী করে সেথা ক্লাস
তার সাথে করে খুব হাঁসফাঁস
কারণ পড়ানো খুব যান্ত্রিক
আনন্দপাঠ হয় না সঠিক
টিচার পড়ান,পড়ুয়ারা বলে এটা আমাদের নিদ্রালয় ৷
ইসকুল
শ্যামাশ্রী রায় কর্মকার
বন্ধু তোমায় বলবো কি আর,যখন ছিলাম ইসকুলে
পড়ার হলে লুকিয়ে কত
গল্পগাছা মনের মতো
পড়তে পড়তে হঠাৎ করে
হারিয়ে গেছি বেবাক দূরে
পক্ষীরাজের পিঠের থেকেও নামিয়েছেন মা কান মুলে ৷
পাখির চোখ
সতীশ বিশ্বাস
পড়ার হলে লুকিয়ে কত
গল্পগাছা মনের মতো
পড়তে পড়তে হঠাৎ করে
হারিয়ে গেছি বেবাক দূরে
পক্ষীরাজের পিঠের থেকেও নামিয়েছেন মা কান মুলে ৷
পাখির চোখ
সতীশ বিশ্বাস
প্রতিদিন কিছু আগে পৌঁছিয়ে ইসকুলে
ফাঁকিগুলো মন থেকে
বের করে দিস রেখে
গোলমাল হয় হোক
দেখিস পাখির চোখ
জানার জানালাগুলো পুরোপুরো দিস খুলে ৷
চলছে ওরা ইসকুলে
সবিতা বিশ্বাস
ব্যাগের ভারে পিঠ বেঁকে যায় চলছে ওরা ইসকুলে
পুলকারে ঠেসাঠেসি
সিট নিয়ে রেষারেষি
লাল চোখ কড়া ম্যাম
মাসে মাসে একজ্যাম
তবুও ওরা হাসছে দেখো, হাসছে ওরা প্রাণ খুলে ৷
ইসকুল মানে
সুপ্রকাশ আচার্য
ইসকুল মানে উছল ঝর্ণা,সছন্দ কলগীতি
স্বচ্ছ আকাশ, খোলা বাতায়ন
জ্ঞান তৃষ্ণায় বারি সিঞ্চন
সাদা পালকে জোড়া দুটি ডানা
পরিযায়ী খোঁজ, আলোর ঠিকানা,
ইসকুল মানে সারাটা জীবন সোনালি দিনের স্মৃতি।
দিদিমনি, দিদিমনি
সুব্রত মাইতি
স্বচ্ছ আকাশ, খোলা বাতায়ন
জ্ঞান তৃষ্ণায় বারি সিঞ্চন
সাদা পালকে জোড়া দুটি ডানা
পরিযায়ী খোঁজ, আলোর ঠিকানা,
ইসকুল মানে সারাটা জীবন সোনালি দিনের স্মৃতি।
দিদিমনি, দিদিমনি
সুব্রত মাইতি
দিদিমনি, দিদিমনি
আমাদের হেড
লিখতে বলেন
এ থেকে জেড
করলে ভুলচুক
ঠিক যেন সে মনসা-ফণি !
ইসকুলে
সুমন কুমার নায়েক
আমাদের হেড
লিখতে বলেন
এ থেকে জেড
করলে ভুলচুক
ঠিক যেন সে মনসা-ফণি !
ইসকুলে
সুমন কুমার নায়েক
আর্যসোনা বায়না ধরে যাবেই যাবে ইসকুলে
তাইতো দিদির হাতটি ধরে
বসলো ক্লাসে চুপটি করে
দেখতে পেয়ে বড়দি হেসে
ডাকলো কাছে ভালোবেসে,
আর্য ভয়ে কেঁদেই সারা, উঠলো যে তার ঠোঁটটি ফুলে ৷
শপথ
সৈয়দ মনাক্কা নাছিম
ইস্কুলেতে পড়তে যাবো আড্ডা দিতে নয় ৷
সঠিক জ্ঞানে
জানার ধ্যানে
সজাগ রবো
মানুষ হবো
বিদ্যাবলে অহং-বিভেদ ছিন্ন যেন হয় ৷
ইসকুল
স্বপনকুমার বিজলী
বই ঠাসা ব্যাগ নিয়ে ইসকুলে যাই
ভোর হলে মার চুমে
উঠে পড়ি কাঁচা ঘুমে
জামা জুতো টাই বেঁধে
বাড়ি ছাড়ি কেঁদে-কেঁদে
কচি-কাঁচা আমাদের ছেলেবেলা নাই ৷
জ্ঞান আর হুঁশ
স্বপন কুমার রায়
স্কুলেতে পাঠায় সবাই শিখবে জ্ঞান আর হুঁশ
শিক্ষা এখন পিছে ভাগে
নিয়মকানুন সবার আগে
নামকরা সব স্কুলে রোজ
এসব চলে কেউ রাখে খোঁজ !
শিশুরা তাই হচ্ছে বড় হচ্ছে না মানুষ !
ইস্কুল
স্বপন চক্রবর্তী
ইস্কুলে যেতে হয় রোজ ভোর বেলা
কাঁচা ঘুম ভেঙে উঠি
দ্রুতবেগে যাই ছুটি
কাঁধে ব্যাগ ঠাসা বই
ওজনের চাপ সই
পাই না একটু দম, হায় ছেলেবেলা !
ইস্কুলে
সমর কুমার চট্টোপাধ্যায়
কাঁচা ঘুম ভেঙে উঠি
দ্রুতবেগে যাই ছুটি
কাঁধে ব্যাগ ঠাসা বই
ওজনের চাপ সই
পাই না একটু দম, হায় ছেলেবেলা !
ইস্কুলে
সমর কুমার চট্টোপাধ্যায়
গরীব ঘরের ছেলে আমরা ইস্কুলেতে যাই
মিড-ডে-মিলে আমরা সবাই প্রোটিন খাবার খাই
খিচুড়ি আর ডিম ভাজা
সয়াবিন ও সবজি তাজা
পেটটা ভরে একটা বেলা খাবারটা তো পাই
পড়াশোনার সাথে যে চাই সুস্থ শরীর ভাই ৷
ইসকুল
হরেকৃষ্ণ দে
ইসকুল চত্বরে শিক্ষিত মায়েদের মেলা ৷
বইয়ের বোঝা শিশুর পিঠে,
চাই ফুলমার্কস মার্কশিটে,
হারিয়ে যাচ্ছে ছেলেবেলা
শৈশব নিয়ে ছেলেখেলা !
স্কুল-টিউশানের চাপে ভুলেই গেছে খেলা !
আবদার
হেমন্ত মাইতি
বইয়ের বোঝা শিশুর পিঠে,
চাই ফুলমার্কস মার্কশিটে,
হারিয়ে যাচ্ছে ছেলেবেলা
শৈশব নিয়ে ছেলেখেলা !
স্কুল-টিউশানের চাপে ভুলেই গেছে খেলা !
আবদার
হেমন্ত মাইতি
ইস্কুলেতে বই-এর বোঝা, পড়া শুধুই পড়া
বাংলা ভূগোল ইতিহাস
মুখস্থতে নাভিশ্বাস
ইংরেজিটা তবু পারি
অঙ্ক কষা ! শক্ত ভারি ৷
সন্ধেবেলায় মাগো আমায় বলবে হাসির ছড়া ৷
বাংলা ভূগোল ইতিহাস
মুখস্থতে নাভিশ্বাস
ইংরেজিটা তবু পারি
অঙ্ক কষা ! শক্ত ভারি ৷
সন্ধেবেলায় মাগো আমায় বলবে হাসির ছড়া ৷
লেখা পাঠান
bimalmondalpoet@gmail.com
খুব ভালো লাগলো 👌
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর।প্রচ্ছদ অনবদ্য।
উত্তরমুছুন