শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

।। প্রতিদিন বিভাগ।। ।। প্রতিবাদী কবিতা -২২।। ঈশ্বরীয় ড্রয়ারের মরুভূমি স্রাবের গাছ ও ২১ পৃষ্ঠার নাভি — নিমাই জানা।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।



    ।।  প্রতিদিন বিভাগ।। 

     ।।  প্রতিবাদী কবিতা -২২।।




ঈশ্বরীয় ড্রয়ারের মরুভূমি স্রাবের গাছ ও ২১ পৃষ্ঠার নাভি

নিমাই জানা


মৃতদেহটা মর্গের হিমায়িত ড্রয়ারের মতো নিষিদ্ধ চিৎকার করছে ! মৃতদেহটা সিমবায়োসিস আগুন চাইছে ! উন্নতমানের মৃতদেহটা তার নিম্নাঙ্গের অন্তর্বাসের ভেতর থেকে সুঁচ ফুটানো তীব্র অন্ধকারের মতো লেসবিয়ান কুকুরের থেকেও আরো কর্কট রোগাক্রান্ত রগরগে লেলিহান সাপগুলোর দাঁতে লেগে থাকা রক্তের ১৫০ মিলিলিটার নক্ষত্রের শ্বেতাঙ্গ ফসফরাস খেতে চাইছে!  লাশ কাটা ঘরে এতো মৃতদেহ !  নিজেদের শরীর থেকে তালতাল মাংস , বরফের মতো শীতল যোনি প্রদেশ , তাম্র ফলকের মতো শিলালিপিময় স্তন , আর চতুর্ভুজ দ্রাঘিমার থেকেও আরো ভয়ঙ্কর রক্তাল্পতায় ডুবে যাওয়া ন্যাক্রোফিক নাভি দেশে ১১ কোটি মানুষ একসাথে একটা মৃত ২১ পৃষ্ঠা নাভির ঘোষণা পত্রকে ছিঁড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে , একটা সাদা রঙের বস্তার ভেতর থেকে আমার মৃতদেহ আমাকেই ডাকছে , নিজের হাড়গোড়ে লেগে থাকা মাংসের শেষ অবশেষটুকু একটা ধারালো চাকু দিয়ে ছাড়িয়ে প্রকাশ্য বিধানসভার মুখে ছুঁড়ে দিয়ে আসি , আমি যেহেতু নির্বোধ জোচ্চোর
হে ঈশ্বর একটা নষ্ট রক্তের প্যাকেট হবে তোমার কাছে আমার উন্মুক্ত পাপ গুলো ধুয়ে নেব পাতলা জরায়ু মুখ থেকে আর জরায়ুর ছাল চামড়া মিলে দেবো প্রকাশ্য রাজপথে......
সাদা অন্তর্বাস কালো রঙের অন্তর্বাস গোলাপি রঙের অন্তর্বাস সব পাগলা গারদের ধারালো ছুরি দিয়ে কেটে অস্ত্রপ্রচারের হাড় হিম বীর্য আর তৃতীয় আগুন খেকো নপুংসক রাক্ষস গুলো তীব্র মশাল নিয়ে যৌনাঙ্গের ভেতরে ঢুকে গিয়ে আঁশটে খেজুর দানাগুলো পেড়ে পেড়ে খাচ্ছে , এখানে সারারাত মরুভূমি বিক্রি হয় এখানে সারারাত মৃতদেহের সাথে যৌনাঙ্গ বিনিময়ের অতি প্রাচীন প্রতিলিপ্সা কামুক স্বরলিপিগুলো তীরন্দাজের মতো কেউ ছুঁড়ে দিচ্ছে নির্বংশ সমুদ্রের অতলে থাকা উলঙ্গ পাথরবিহীন দৈত্যের মতো । তীব্র চিৎকার করছে যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দিচ্ছে ধারালো চুলের ক্লিপ , বোতাম খুলে আলগা করে দিচ্ছে আগুন , পাতাল করে দিচ্ছে এলাচের গাছ ,বিতলে লাগাচ্ছে ময়ূরাক্ষী , আবার চুল্লির ভেতরে ঢুকে সোডিয়াম ধাতু ঢুকিয়ে দিচ্ছে অগ্নাশয় বীজের বংশধর , হে বুদ্ধ এখানেই মুখে জিভে ঠোঁটে তলপেটে গলায় আঁচড় খুঁজে পায় না বলে সবাই থ্রি ডি স্ক্যানারে জলাতঙ্ক খুঁজছে ,
হে খাদক,  হে ধ্বংস , হে দৈত্য , হে শ্মশানের আধপুড়া মাথা, লম্বা জিভটা বের করে চেটে চেটে খাও আমার গলা থেকে নাভি , নাভি থেকে মনিপুর , মনিপুর থেকে হিমাচল , হিমাচল থেকে শক্ত ইস্পাতের দরজা , আমি চিৎ হয়ে শুয়ে থেকে ঈশ্বরকে দেখাবো আমার উলঙ্গ মানচিত্র আর তৃতীয় বন্ধনীর নিঃশব্দ বক্ষবন্ধনের চেস্ট ডিপার্টমেন্টাল দ্বিপত্র কপাটিকা গুলো , একটু থুতু খাও গঙ্গা  

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন