।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। প্রতিবাদী কবিতা -২।।
কর্ষক
অরিন্দম চট্টোপাধ্যায়
ভূমি জুড়ে ঘাসফুলের মতো জেগে ওঠে ভোর।
তার ওপর প্রোথিত কত গাছ। আর তার ডালে ডালে শোভিত কত ফুল। আর সে গুলো যখন ঝরে পড়ে তখন রঙিন উদ্যান হয়ে ওঠে।
তুমি সাজানো এই উদ্যান থেকে গাছ তুলে ফেলে দিলে।গাছের ডাল থেকে ফুল গুলো চিরতরে ছড়িয়ে দিলে। কর্ষণ করে ভূমি থেকে মাটি তুলে তচনচ করে দিলে।
একটা পশুর মতো হিংস্রতা ও ক্ররতা নিয়ে সব ছিন্ন ভিন্ন করলে। সব ছিঁড়ে ছিঁড়ে ফেলে দিয়ে শূন্য করে দিয়ে গেলে। শরীর থেকে ক্রমাগত রক্তক্ষরণ। তা ছড়িয়ে ছড়িয়ে লাল ভূমি উদ্যান হয়ে গেল।
এখন আমার শরীরের ওপর শকুন উড়ছে । আর তুমি পৈশাচিক উল্লাসে মেতে আছো।সবাইকে তুমি জড়ো করে দেখাচ্ছো আমার এই রক্তস্রোতর শরীর।
অত:পর মিডিয়ার ক্যামেরা তাক করে একটা ছবি তুলছে।আর নানান বর্ণের গল্পে এখন জমজমাট।সব অনলাইনে ছড়িয়ে ছড়িয়ে একটা কাব্যগাথা।
এখন রাষ্ট্র থেকে ঘোষিত আমার শরীরের দাম কয়েক লক্ষ মূদ্রার । অথচ আমার কোন ক্রোধ থাকতে নেই। কোন দু:খ থাকতে নেই। কোন আশা থাকতে পারে না। তোমাদের আরোপিত নিয়মই
যেন নিয়ম।
শুধু কর্ষিত হওয়ার জন্য এই জীবন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন