বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

। প্রতিদিন বিভাগ।। ।। এপ্রিল সংখ্যা।। ।। বাঙালি ও পহেলা বৈশাখ— ২৬।। সুবীর ঘোষ -র কবিতা।। Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 




      ।। প্রতিদিন বিভাগ।। 

      ।।  এপ্রিল সংখ্যা।। 

। বাঙালি ও পহেলা বৈশাখ— ২৬।। 



 সুবীর ঘোষ -র  কবিতা 


পূরবীকথা
 

আমরা এমন এক সমুদ্রের দিকে যাচ্ছি
যাকে চেনা যায় না। 
আমরা সূর্যাস্তের দিকে মুখ করে হাঁটছি
তবু সেই সূর্যাস্তে আমাদের বিশ্বাস নেই। 

উড়ে যাওয়া নিয়ে পাখির দুশ্চিন্তা নেই,
আমাদের আছে ;
ওড়া আমাদের প্রিয় করে না, 
আমাদের ভুলিয়ে দেয়। 

আমরা খুব দুঃখী, জানো, 
আমাদের কণ্ঠস্বর নেই---
সামনে কারবালা দেখেও
আমরা কাউকেই বলতে পারি না ---
পথ দেখাও। 


 

নিঃশ্বাস


 

সেই উন্মুক্ত স্টেশনে সেদিন

আমরা দুজনই মাত্র ট্রেন ফেল করেছিলাম

কোনো হতাশা দেখিনি বনকুলের ঝোপে

দুশ্চিন্তা ছিল না তোমার সোনালি লেডিজ ঘড়িতেও ।

অম্লানবদনে বললে- হেঁটেই চলে যাবো ।

হেঁটে হেঁটে সাঁইত্রিশ কিলোমিটার !

--- কেনরাস্তায় কোনো না কোনো ট্রেন পেয়ে যাবো ।

--ট্রেন কী বাস যে হাত দেখালে দাঁড়াবে ?

এ সব তর্কের কোনো মীমাংসা হয়নি সে দিন ।

আমরা অন্ধকার গাছের ডালে উঠে ঘুমিয়েছিলাম  সারা রাত ।

কেউ টের পায়নি । না - কেউ না --

না ডাকাত না সাপ না প্যাঁচা না বৃষ্টি ।

 

সেই বাহুসন্ধির খোঁজ পেতে গিয়ে

আমাকে গ্রাম থেকে শহরে আসতে হয়েছে

হাট ছেড়ে বাজারের পথ ধরতে হয়েছে

তুমি কোথায় ও কেন যে আমার হাত ছেড়ে দিলে জানি না ।

কত বাসের জানলায় আমার নিঃশ্বাসের বাষ্প লেগে আছে

আমি অনেক ঘুরেছি এই ঠিকানাবিহীন পৃথিবীতে

কেউ তোমাকে দেখেনি তা কী হয় !

কত বাসের জানলায় এসে বসেই নেমে গেছি

তোমার নিঃশ্বাসের বায়োমেট্রিক মেলেনি ।


 

 

বর্ষা এলেই


 

বুঝতে পারিনি বিকেলের শেষে ফর্সা আকাশ জাগবে ,

সকালের সেই কান্না-চোখ যে পাল্টাবে ভাবা যায়নি ।

আমার তো ছিল বান্ধবদের মহলা যাবার দায় ---

কিছুই হল না  , শুধু একা ঘরে নগ্ন নিজের নাচ ।

 

বর্ষা হলেই মনের ভেতর আকাশ ভাঙার পাট ,

প্রহরে প্রহরে জর্জর করে সুখশরীরের যোগিনী ।

সেই তো একদা শিখিয়ে দিয়েছে নীললালরংবাহারে ---

বৃষ্টির জল ঘরে ডেকে এনে শয্যাপ্রচার খেলতে ।

1 টি মন্তব্য: