।। প্রতিদিন বিভাগ।।
।। এপ্রিল সংখ্যা।।
।। বাঙালি ও পহেলা বৈশাখ— ২২।।
জাহান্নাম নট লেস দ্যান আততায়ীর যুক্তাক্ষর ও পৃথিবীর নাগপথ
নিমাই জানাআত্মা ও পরাবৃত্তের সাংখ্যমান কার্বনেটেট রেজালা ফ্লেভার গুণিতক সংখ্যাগুলো রেনাল টিউবের অন্ডকোষ নিঃসৃত কালোপাথরের পাশে ডায়াবেটিক আলসার দিয়ে মাঝরাতের মাথা কাটা ঘোড়াদের মৃদু কঙ্কালে অসমাপিকা পৃথিবীর মুদ্রা রস ঢেলে দিয়ে ৫২ সন্ধ্যার নৃত্য গীত শুরু করছে। বিজয় রাক্ষসেরা এ বিষাক্ত নদে এসে লাল স্তনের শৈল দুগ্ধজাত গিরি গুহা গুলো পুড়িয়ে পুড়িয়ে মহারথীর পৃথিবীতে নীল ঈশ্বরী বানিয়ে সাপেদের গর্তে দুই পা ঢুকিয়ে কুমেরু আবিষ্কার করতেন , লাল চা পাতা দিয়ে গোদাবরী পর্বত বানাচ্ছে নিষ্ঠুর দেবতা ,
ডেলটা ফ্রিকোয়েন্সি ঘুম ও মৃত্যুর কফিনের পাশে পোঁতা রয়েছে লাল পেরেকের হড়হড়ে শরীরের ১ম যৌন অসুখ , শুকনো হাড়ের মতো নিকোটিন বেড়ে ওঠে জরায়ুজ রক্তের দুর্গন্ধ পুঁজ ভর্তি নীল মাংসাশী ছিদ্রের ভেতর, আদিম জঙ্ঘার থেকেও আরো স্থিতিশীল পাথরময় লোমশ ব্রহ্মময় শুঁয়োপোকা আর কিছু স্পাইরাল ব্রহ্মা নীল পাখির মতো উড়তে উড়তে আমাদের প্রতিটি কীলকাকৃতি ও ধূসর তীব্র ধারালো মৃত গাছের ছালের থেকেও আরো বর্ণময় বিষাক্ত ঘাস ও সন্ধ্যা কালকে হত্যা করে গেছে। পেরেকের থেকে উম্বিলিক্যাল ডিমের নীল প্যাকেটজাত ডিমের ভেতরে মেঘনাদস্ত্র , গলার ভেতর থেকে একটা মধ্য দুপুরের নির্জন মৃত শব্দ ভেসে আসছে , আমি নৌকা থেকে একটা বরফ মেশানো ঘরের ভেতরে ঢুকে গেলাম আর কাটা কাটা পা গুলো বরফ জলে ডুবিয়ে নবম জননছিদ্রের আগাটিকে লাল বীভৎস বৈদুর্যময় গিরি পাথরের চূড়া দিয়ে অর্ধ প্রবাল মৎস্য ও জলজ মাংসাশীদের মত একটা মিশ্রিত শরীরময় মানুষদের জন্য নন ডিলিটেড কিউ আর স্ক্যান কোড আর মহাপৃথিবীর বহিবৃক্ষদের থেকেও আরো কৃষ্ণাঙ্গ মাটিতে মৃত ছাই জুড়ে দিচ্ছি । আমার পিঠের উপর একটা মৃত নৌকা দুটো জ্যান্ত লাশের থেকেও আরো ধূসর সন্ন্যাসীময় সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত জনবহুল লৌহ আকরিকের থেকেও আরো ঘনত্বময় পৃথিবীর বিভাজিকায় একটা শর্তাধীন তাপমোচী সাইক্লোট্রন রাখলাম , ভয়ঙ্কর একটা তাজ্জব বজ্রপাতের শব্দ ! একটা খতম! প্রতাপ প্রলয় ! কুঠুরীর বীভৎসহ অহংকার ! না আর কোন হরিণীদের এখানে জন্মস্থান নেই। নিষিদ্ধ ঋষি নিষিদ্ধ সন্ন্যাসিনী আমাকে উপেক্ষা করে আরেকটা অন্যমনস্ক সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছে বারবার, ভয়ংকর নিঃশব্দ রাতের আততায়ী রক্তের অসুখেরা বিছানাহীন ভোর থেকে নেমে তরল মাংস বিক্রি করছে । আমি সেই মানুষের লাল জলীয় রস গোলা মাংসের স্যুপ গিলে খাচ্ছি , আমার বাবা গিলে খাচ্ছে , আমার চন্দ্রায়ন করা ন্যাংটো পরপুরুষেরা গিলে খাচ্ছে শুকনো মাটির মতো একটা চন্দ্রবোড়া শুকনো চামড়া গুলো নিয়ে পৃথিবীর অদ্বৈত ভূখণ্ড বানাচ্ছে।
একটা ভয়ংকর অন্তর্বাস ঢাকা দুটো মাটির তৈরি নাগপথ মৃত্যুমুখো উপত্যকার দিকে বিবিধ উপগ্রহ ছেড়ে দিয়ে খাদ্যের উচ্ছিষ্ঠ কণায় নরম মাংস ডোবাচ্ছে , একটা মুরারি চক অধাতুকল্প শ্মশানের জন্য মাটি খুঁড়ছে।একটি মার্বেল দোকানের গতিজাড্যে ধৃতরাষ্ট্র বাঘ দৌড়াচ্ছে...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন