শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

।। ফেব্রুয়ারি সংখ্যা।। ।। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস —১৮।। নিমাই জানার দুটি কবিতা -।।Ankurisha।। E.Magazine।। Bengali poem in literature।।

 


         ।। ফেব্রুয়ারি সংখ্যা।। 

       ।।  আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস —১৮।।




নিমাই জানার দুটি কবিতা



১.
অবিনশ্বর মুদ্রাদোষ ও বাক শরীরের তৃতীয় জন্মের পিতারা


ঊর্ধ্বজিত সমগ্র বায়বীয় পাখিগুলো আজ নৈসর্গিক দৃশ্যের অপরা শূন্যস্থানে এক্সক্ল্যামেশন ছায়াটিকে খননকার্য শেখাচ্ছে অধাতব ম্যাগনেসিয়ামের বারুদ গন্ধের মাংসাশী ডায়ামিটার দিয়ে।
সাইকোটিক ডিজঅর্ডার ও স্বর্গীয় ব্রহ্মকুটে বসে থাকা উন্মাদ শ্রীচৈতন্যের সরলবর্গীয় কাঠের সাইকোলজিক্যাল গন্ধের পৃথিবী সমগ্রের আদিম ক্ষুধাতুর হোলিকা সমগ্র প্রসূতি আর সম্ভূতির ওমেগা চিহ্নের কিউবিক্যাল জিভটা কেটে পিতা জন্ম নিচ্ছে পিতার ভেতরে থাকা অদৃশ্য বর্ণসংকরের মতো , লাল মাছিগুলো উড়ে এসে বসে আমার পোশাক ঢাকা মাংসের উপর
আমি ঋকবেদের নৃতত্ত্ব নারী বাক শরীরের জন্ম গ্রহণ দৃশ্য দেখছি সূর্যলোক ঔরসজাতের পর

মাঝ রাতের খ্যাপাটে চাঁদ লাল ল্যাঙট পরা ক্ষয়প্রাপ্ত মহাবিশ্বের ঋষি চতুর্থ আসনের যজ্ঞ উদ্ভূত পঞ্চম কর্মেন্দ্রিয়ের তৃতীয় বাক সমগ্রের অনাস্বাদিত তেজ বিন্দুতে প্রতিটি স্বয়ম্ভু নারীর সর্প বিষের মতো ৩ এম এল রেচন ত্যাগ করছে দীর্ঘস্থায়ী অর্ধবৃত্তে ।

ব্যঞ্জনবর্ণের লাল ক্ষুধার্ত পিপীলিকা গুলো শূন্যস্থান গর্তের ভেতর থেকে দুগ্ধরসের মতো খনিজ ভর্তি পর্বতের হিমশৈল আবিষ্কার করল , রক্ত কোষের আদি তামাটে সুন্নত রাইফেল দ্রষ্টব্য নদী আর রক্তের থকথকে আততায়ীরা আজ বিশ্রাম নিচ্ছে মৃত্যুদণ্ডের পর ,
চরক ভুল করে কোনদিন চকলেট ফ্লেভারের মোমবাতি জ্বালায়নি ঈশ্বরের জাগৃতি ও নিদিধ্যাসন কক্ষে



২.
রসায়ন ফাঁসির কেঁচো ও ২১ টি নিষিদ্ধ ঈশ্বরের জরুল রেচন

ফাঁসির দড়িটা বড় পিচ্ছিল রোগাক্রান্ত সাপের লিকলিকে ঠোঁটের অবিন্যস্ত যৌনাঙ্গ ভেদ করে তৃতীয় চোখ দিয়ে দেখছি আমার শব ব্যবচ্ছেদের সংরক্ষণ ও শিথিল বাকযন্ত্রের অসংখ্য ধমনী তন্ত্র ,

প্রিজমের সবুজ রঙের খাদক কাঁচের ভেতরে থাকলেই প্রতিটি মানুষ জেলিফিকেসান ন্যুড দৃশ্য দেখে বমি করে হাওয়ায় ওড়ে চাঁদের স্তন চেটে খায় অপরাধগ্রস্ত কোন সেতুর নিচে স্টেরোয়েড ধাতুর মাছের লিঙ্গান্তরকামী কোন মেরুদন্ডের উপর
আমি মুদ্রা ধাতুর অভাবজনিত ক্ষুধার্ত রোগে মরে যাওয়ার মত কিছু দেশলাই কাঠির বাক্সের ভেতরে জমে থাকা আদিম ভূতাত্ত্বিক শর্করার মতো সেনাবাহিনীদের ধারালো আগ্নেয়াস্ত্রের দোকান থেকে নিয়ে আসি গলার ধারালো সুঁচ
বিষাদের মৃত্যু রাস্তার জৈবনিক গন্ধ পোশাকের লাল ঠোঁট জুতার ভেতর থেকে উঠে আসা পচা ডিমের গন্ধ লাল রাজপথে থুতু আর কচ্ছপের ডিম্বানুবর্তী তলপেট থেকে বের করে একাকী আমি পরকীয়া নারী স্থলপথের মতো নিউজিল্যান্ডের সরাইখানায় তৃণ বিস্ফোরণ ঘটালাম , ঔ চিহ্নের মতো বাঁকানো চামচের উলঙ্গ করোটি নিয়ে দেখেছি মৃতদেহের তলপেটে থেকে নির্গত পচা রস ও জলের তীব্র গন্ধ

দন্ডপ্রাপ্ত সমাধি তৃতীয় বুলেট ঝাঁঝরা পাঁজর এক গোছা রজনীগন্ধায় উদ্বাস্তুর নদী ও মাঝ রাতে আমার গলাটাকে কেটে নিয়ে বিসর্গ চিহ্ন শেখাচ্ছে। সিপিয়া রঙের ঈশ্বর সুন্দরী গাছের বাগান থেকে ঋণাত্মক কালো জরুলের মত তীব্র বারুদের ঠোঁটগুলো নিয়ে সাদা বড়িগুলো খাওয়াচ্ছে উচ্চ ডায়াষ্টোলিক রক্তচাপ বিশিষ্ট রাজহাঁসদের
 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন