পৌষ এল ঘরে -৩৪
দীনেশ চন্দ্র সরকার
১.
গাই পৌষের গান
ধান কেটে ঘরে তোলার সাঙ্গ হ'লো কাজ,
খা-খা মাঠ কেঁদে মরে অঙ্গে তো নেই সাজ!
কাক-শালিখ খুঁটে খুঁটে খায় যে ঝরা ধান
গরু ছাগল চরে বেড়ায় গায় পৌষের গান।
পৌষ সকাল ভারী মজার খেজুর রসের গ্লাস
শেষ করে এক চুমুকে মেটে না তো আশ।
নলেন গুড়, পিঠে-পুলি পৌষেরই দান
মজায় খাই, আয়েশ করি, গাই পৌষের গান।
শীত আসে পাখির ডানায় কাঁপায় চরাচর
লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে কর্ রে আয়েশ কর্।
মিঠে রোদ লাগে ভালো চাঙ্গা শরীর মন
ছুটির দিন নদীর ধারে খুশির বনভোজন।
আঙিনায় ডালিয়া আর চন্দ্রমল্লিকা
ফুটে রয়, সদা হাসে, নেই অহমিকা।
গাঁদা ফুল আলো ক'রে রাখে চারিধার
অলিদের গুঞ্জরণে খুশিরই বাহার।
পৌষ মাসে পৌষ মেলা আর গঙ্গাসাগর
অজয়ের পাড়ে বসে বাউলের আসর।
পৌষ এলে হৃদয়ে যে ডাকে খুশির বান
পৌষকে তাই ভালোবাসি গাই পৌষের গান।
২.
বড়দিন উৎসব
পাপীদের পাপ করতে মোচন প্রভু ধরাধামে
মাতা মেরীর কোলে এলেন যীশুখ্রীষ্ট নামে ।
চারিদিকে ঘন্টাধ্বনি খুশির কলরোলে
জ্যোতি ছড়ান প্রভু যীশু মেরীমাতার কোলে।
প্রভু যীশুর আবির্ভাবের সেই শুভদিনটিকে
শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সবাই দিকে দিকে।
পালন করে 'বড়দিন' আর মাতে যে উৎসবে
মুখরিত আকাশ-বাতাস খুশির কলরবে।
খ্রীষ্ট ধর্মের জনক তিনি ব্যাপ্ত চরাচরে
বুকে ধরেন পাপীকে যে পাপকে ঘৃণা করে।
ক্ষমাই হলো পরম ধর্ম, তাঁর যে মহান বাণী
শত্রুকেও করেন ক্ষমা, সে তো সবাই জানি।
ডিসেম্বরের পঁচিশ আসে বড়দিনের সাজে
গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা আর ঘন্টা ধ্বনি বাজে।
আলোকসজ্জায় সেজে ওঠে গির্জা আছে যত
প্রভুর আশিস্ ঝরে পড়ে যেন অবিরত।
বড়দিনে বেড়াতে যাই পাহাড়-সাগর-বনে
কেউ বা মাতি পিকনিকে আর কেউ বনভোজনে।
কেউ বা করি নৌকাবিহার কেউ গির্জাতে যাই
ক্রূশবিদ্ধ যীশুকে দেখে হৃদয়ে ব্যথা পাই।
বেশ ভালো
উত্তরমুছুন