হেমন্তের সকাল -১৫
বিকাশ বর
১.
শিউলি-মুখ
মেঘ সরিয়ে নীলাকাশ পেলে
উষ্ণ শরীরে শীতলতা এলে
পাতা ঝরার কালে শিউলি কুড়োতে যাই
আর তখনই, ঠিক তখনই তোমার
সদ্য স্নান সারা প্রসন্ন মুখ ভেসে ওঠে
মুখের আলোয় ভেসে যাই কবিতার দেশে
দু'চার লাইন কবিতা ঝরে পড়ে
চুল থেকে ঝরে পড়া জলবিন্দুর মত
তোমাকে সাজিয়ে দিই কবিতার মালায়
শব্দগুলো খেলা করে শিউলির ডালায়
আমার কবিতা যত, ঠাঁই নেয় শিউলিমুখে।
২.
হেমন্তসকালে
গাছেরা পাতা ঝরাতে থাকলে
বড় উদাসী হয়ে যাই
হেমন্তসকালে ছেঁড়া ছেঁড়া শীতল বাতাসে
মিঠেকড়া রোদ মেখে, ধানশিষের আগায়
ভালবাসা খুঁজি জানালায় শালিকের মতো
ব্যস্ত শহর খোঁজ রাখে না আমার ভালবাসার
বুকের ভিতর নিঃস্ব হয়ে থাকা
কিছু অনুক্ত কথা জেগে ওঠে
পাতা ঝরার শব্দে
মান-অভিমান যত অশ্রুদাগ
মিশে যায় হেমন্তসকালে
প্রতিনিয়ত ভালোবাসা নির্মাণ করি
প্রতিনিয়ত পাতা খসে পড়ে---
হেমন্তসকালে তোমার মুখটা আর
নির্মাণ করতে পারি না।
খুব ভালো লাগলো কবি। ভালো থাকুন।
উত্তরমুছুন