আগমনী বন্দনা -১৯
জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়
১.
উৎসব আসে
ঘাস শিশির শিউলি কাশ ঘোলাজল কয়েকমাস
সবুজ ধানের মাঠে উদ্দাম হাওয়া
সবকিছু সেজেছে অনন্য মুগ্ধতায়।
ওরা সব জানে।
ওরা জানে প্রহরে প্রহরে কোন রাগিণী আলাপ,
উদারা মুদারা তারা কোমল কড়ির পথঘাট।
নানা রং বন্দিশের আরোহ-অবরোহে
সচল পর্দায় কীসের আগম।
যেমন ঢাকিরা জানে দুকাঠির জাদু।
কোন ভাবে কোন বোল বাজে।
আগমন উদ্ বোধন আবাহন আরাত্রিক বরণ
বা নিরঞ্জনের বোল।
বেসুরো কানের ঢেউ ভেঙে দেয় গ্রেম্যাটার
বোঝা যায় বোলগুলি ভাবের শামিল।
ঘাসফড়িয়েরা প্রত্যাশা ডাকে
জোনাকিরা ছাতা মেলে বাবলার বনে
হাজারো মানিক।
উৎসব আসে।
যত ব্যর্থতা বঞ্চনা মলিনতা ঠেলে
কদিনের সুখ পাতা মেলে।
২.
প্রশ্ন : আগমনী
আলোকিত আকাশ যদি শামিয়ানামেঘ তবে
কাশ শিউলি বাঁশপাতা পাখি বা নীলকণ্ঠেরা
কি নীরব দুর্যোগে আগমনী গাইবে না!
সেই যে বাউল প্রভাতি গাইতে গাইতে পার হলো
সত্তর শরৎ তার করতাল ভরা জলে ভর করে
এপাড়া-ওপাড়ার লক্ষ্মী সরস্বতীর নতুন ফ্রকের গন্ধে
ঢেউ তুলে গেলো সেও কি মেঘ রং আকাশকে ভয় পাবে?
অকিঞ্চিৎ মণ্ডপ ক-টা দিন সূর্যমন্দির হবে না?
ফকিরকাকার বেহালার রামপ্রসাদী সুর যদি
বেড়াবাঁধা মাকে টানে তবে কি মেঘের ছেঁড়াছাতা
বৃষ্টি ভুলে যাবে?
পলিশিট স্কুলঘর বাঁধপাড়ের যুদ্ধবন্দিরা
কোন উৎসব পাবে?
মিসাইল ভেঙে দেয় স্বপ্নের ঘর,তুমি কি পারো
সর্বজনীন আনন্দ বিলোতে?
দুটি কবিতাই খুব সুন্দর। মনোমুগ্ধকর।
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ জানাই কবি।
মুছুনমুগ্ধ হলাম যেমনটি প্রতিবার হই।🙏🏻
উত্তরমুছুন