প্রেমের কবিতা -৫০
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া
১.
রূপাঞ্জনা
ভুলের শুরু অনেক আগেই অবশ্য এ ভুল যদি হয়
রুপিপিসি, আমরা যেমন ভান করেছি রাতের বেলায়
ঘুমোচ্ছি খুব…ঘুম আসছে না…যখন গভীর
জলের ছায়ায় মেঘ নেমেছে ময়ূর রঙের
অসাবধানে গলানো মোম তর্জনীতে লাগলো যেদিন
সেদিন থেকেই ব্যর্থ আমি সেদিন থেকে আমূল রঙিন
রহস্যময় বদলে গেছি ছায়ার মানুষ যেমন বাঁচে
নিখাকি তোর আগুন আমায় সেদ্ধ করে অল্প আঁচে
নাভির কুয়ো উস্কে তোলে আংরা কাঠের আধপোড়া মন
মাথার খুলি ফাটিয়ে মরা লাফিয়ে ওঠে চিতায় যেমন
বর কেন যে নেয়নি তোকে, রুপিপিসি হাওয়ার তোড়ে
অন্ধকারও রঙ ছেটালো গুলমোহরের এই শহরে
গাছের হাড়ে আমরা রাখি বাজবরণের শঙ্খলতা
সোনার সাপে ছোবল তোলে পাথরকুচি জিভের পাতায়
ত্রিকুট পাহাড় পেঁচিয়ে ওঠে মিশকালো রাত,রাতের ফণা
বিষ ঢেলে দেয় চিকন দাঁতের, রক্তে সে বিষ ওড়ায় ধোঁয়া
জ্বলন্ত গাছ আকন্দ নীল ছাইচাপা বিষ নিষেধ ডানা
ফিনিক্স তবু একনিমেষেই বৃষ্টিপালক কেউ জানে না
রুপিপিসি ধুলোর ঠোঁটে ফিসফিসিয়ে ভুলের মতোই
আজকে তোকে ডাকবো আবার রূপাঞ্জনা!রূপাঞ্জনা!
২.
তোমার মুখ
ব্যথার চেয়ে বেশি কী জানো উজান
ধাক্কা খেলেই ছলকে উঠি আরও
এই যে নদীর রাত্রিকালীন উড়াল
অন্ধ ডানা, তুমি কি মেঘ পারো?
পথ কি করে ছড়ালো এত গোপন
অলখ দিন ছায়ার দীর্ঘশ্বাস
চাঁদের মৃণাল,পদ্মবীজ রোপণ
করেছি জলে,জলেই বসবাস
এগোতে গেলেই রাস্তা মুছে যায়
বিস্মরণের পরবর্তী বাঁকে
ঝাঁকুনি দেয় হাওয়ার ডালপালা
হলুদ পাতা কষ্ট বলে তাকে
ধাক্কা দেয় বুকের ভরা কোটাল
বিপজ্জনক ঘুমের আশেপাশে
ছলকে পড়ি এখনও টালমাটাল
তোমার ঢেউ ছন্ন ডানায় হাসে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন