আষাঢ়ে গপ্প কথা -৫
দুর্গাদাস মিদ্যা
গ ল প
ঘটনা টা বেশ জবর। বর্ষাকাল বৃষ্টি হবে না তাতো নয়। গ্রামের ছেলে। মাঠে ঘাটে যাওয়ার অভ্যেস। দীর্ঘ দিন বাড়ির বাইরে থাকতে হয়েছে চাকরি সূত্রে করোনার সময়ে গ্রামের বাড়িতে এসে যাওয়ার পরে আর ফিরে যেতে পারে নি। এখন এখান থেকেই ওয়ারক ফ্রম হোম চলছে। তা গ্রাম তো সেই গ্রাম নেই। সেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। গা ছমছমে ভাব ভুতের ভয়।
এখন এমন কোন ঘর নেই যার বাড়িতে ইলেক্ট্রিক আলো নেই।
সব ঠিক আছে কিন্তু সব ভয় যে একেবারে শেষ হয়ে গেছে তা নয়। এখনও একটি ভয়ে গা ছমছম করে রোদ্দুরের। জাত সাপ দুচারটে
ফুটফাট বেরিয়ে পড়ে। এইতো সেদিন গোয়ালের ভিতরে কালো দুধেল গাইটার বাঁট থেকে দুধ খাচ্ছিল বেশ বড় সড় দুধে খরিশ। মেজকাকা দুধ দূইতে গিয়ে দেখে এই কান্ড। লাঠি নিয়ে মারতে গিয়ে সাপটা লাফ দিয়ে প্রায় মেজকাকাকে ছুঁয়ে ফেলে আরকি।
সেই থেকে রোদ্দুরের ঘুম ছুটে গেছে। ভয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া প্রায় বন্ধ। ভয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন।
ঘন ঘন বৃষ্টি। ব্যাঙের আওয়াজ। সেদিন ঘরের উঠোনে ব্যাঙের ত্রাহি ত্রাহি আওয়াজ। মেজকাকা সাহসী। একটা টর্চের আলো নিয়ে দেখে সাপ বাবাজি যথারীতি ব্যাঙ শিকার করে বসে আছে। সেই সব দেখে শুনে রোদ্দুর সেন্সলেস হয়ে গেল। জ্ঞান ফিরতে দেখল সবাই ওর জন্য তটস্থ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
আরও পড়ুন 👇🏾👇🏾
https://wwwankurisha.blogspot.com/2021/07/ankurisha-emagazine-bengali-poem-in_93.html
খুব সুন্দর হয়েছে গল্পটি। সাপের ভয় তো গ্ৰামে গঞ্জে লেগেই থাকে। শহরে থেকে রোদ্দুরের মনে
উত্তরমুছুনসাপের ভয় বুকে গেছে।