বুধবার, ৭ অক্টোবর, ২০২০

ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস-পর্ব -১ ।। একটি মার্ডার: এবং তারপর...।। সৈয়দ রেজাউল করিম

  





ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস-
পর্ব-১ 

একটি মার্ডার: এবং তারপর...

 সৈয়দ রেজাউল করিম



হুগলি নদীর তীরে ভারতের একটি অন্যতম রেলওয়ে স্টেশন হল, হাওড়া রেলওয়ে জংশন । জংশনটি যেন একটি মিনি ভারতবর্ষ । ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ লোক, নানা কারণে কলকাতা বা পশ্চিমবঙ্গে আসে । আবার কাজকাম সেরে ফিরে যায় তাদের ডেস্টিনেশনে । তাদের এই আগমন নির্গমনের মাঝে অনেক সময় ঘটে যায় নানান দুর্ঘটনা । অনেক অপরাধমূলক কাজ । তার আইনি ব্যবস্থা যাতে সঠিক সময়ে, ঠিকমতো করা যায়, সেজন্য হাওড়ার মত জনবহুল জংশনের ভিতরে একটি থানা করে রাখা আছে । তাকে সকলে হাওড়া জি, আর, পি থানা হিসেবে জানে । শুধু তাই নয়, পাশের বিল্ডিং- এর চার তলায় আছে এস,পি, জি আর, পি, এস ও অন্যান্য আধিকারিকদের অফিস । যাতে সুষ্ঠভাবে সব কাজ দেখাশোনা করতে পারে ।

          ‎কয়েক বছর আগে আই, সি, হিসেবে হাওড়া জি, আর,পি, এস, থানায় পোস্টিং হলো যতীন দারোগার । সরকারি আদেশ, অমান্য করার উপায় নেই। তাই জলপাইগুড়ি জেলা থেকে চলে আসতে হল যতীন দারোগাকে । থানার চার্জ নিয়ে প্রথম প্রথম খুব অসুবিধার মধ্যে পড়লেন । থানা ফাঁড়ির কাজের ধরন, আর জি, আর, পি, এস-এর কাজের ধরন যেন আকাশ-পাতাল তফাৎ । অপরাধীর অপরাধ করার ধরন অনেকটা ভিন্ন প্রকৃতির । তবে আই, সি-র চেয়ারে বসে সবকিছু সামলে নিলেন তিনি ।

          ‎পুরানো মামলার কাগজ পত্র সব ঘেঁটে দেখলেন, এখানে অধিকাংশ অপরাধ সংঘটিত হয় ট্রেনের ভিতর। সে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে বেহুশ যাত্রীদের কাছ থেকে তাদের সম্পত্তি চুরি করা হোক, বন্দুক দেখিয়ে জোর করে ছিনতাই বা ডাকাতি করা হোক, কিংবা অপহরণের কিছু ঘটনা ঘটুক, তার বিক্ষোভ, দায়-দায়িত্ব এসে পড়ে রেল স্টেশনের জি, আর,পি, থানাগুলোতে। এছাড়া মিছিল-মিটিংয়ের চাপ তো পড়েই । শুধু তাই নয়, অবৈধ কাজ কারবারের আখড়া হয়ে ওঠে স্টেশন চত্তরগুলো । মাদকদ্রব্য থেকে শুরু করে, অবৈধ প্রেমে-ভালবাসার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়ায় । যেহেতু স্টেশনগুলোতে মানুষজনের অবাধ যাতায়াত চলে, তাই তাদের চিহ্নিত করাও অনেকটা গাদার মধ্যে ছুঁচ খোঁজার অবস্থায় দাঁড়ায় পুলিশের কাছে । সেই অভাবনীয় পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্যে কাজ করতে পুলিশের।

          ‎জেলা থানায় একটা নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে তাতে সাক্ষী-সাবুদ পাবার একটা সুবিধে থাকে । কিন্তু ট্রেনের মধ্যে সংঘটিত অপরাধের ক্ষেত্রে সাক্ষী-সাবুদ পাওয়া বড় দুষ্কর । বিশেষ করে সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেন, লোকাল ট্রেনের ক্ষেত্রে । কারণ তাদের কোন নথিপত্র থাকে না রেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাছে । তাছাড়া অপরাধীরা কেউ স্টেশন চত্বরে বা আশেপাশে বসবাস করে না ।

          ‎এত কিছু প্রতিবন্ধকতার মধ্যে কাজ করতে হয় রেল পুলিশ প্রশাসনকে । এখান একটু আধটু কাজের সুবিধা হয়েছে মোবাইল ফোনের দৌলতে । যাত্রীরা আড়ালে-আবডালে ঘটনার ছবি তুলে রাখতে পারে । কথাবার্তা রেকর্ড করে রাখতে পারে । সর্বোপরি অপরাধীদের উপস্থিতি সহজে বার করে নিতে পারে পুলিশ। ফোন মালিকের আইডেন্টিটি খুব সহজে নির্ধারণ করতে পারে।

          ‎জেলা থানায় অপরাধীদের সনাক্তকরণের জন্য তিনটি রেজিস্টার তৈরি করে রাখা হয়। একটি হলো 'অল অ্যারেস্ট রেজিস্টার'। দ্বিতীয়টি হলো 'অ্যাক্টিভ ক্রিমিনাল লিস্ট'। এবং তৃতীয়টি হলো 'হিস্ট্রিসিট'। 'অ্যাক্টিভ ক্রিমিনাল লিস্টে' সেই সব অপরাধীদের নাম ঠিকানা লেখা থাকে, যারা বর্তমানে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম যুক্ত আছে। 'হিস্ট্রিসিটে' তাদের নাম সবিস্তারে লেখা থাকে, যারা চুরি ডাকাতির মতো হিনিয়াস ক্রাইমের সাথে যুক্ত থাকে। আর 'অল অ্যারেস্ট রেজিস্টারে' সমস্ত রকম আসামিদের নাম লিপিবদ্ধ করা হয় । জি,আর,পি, এস, থানাগুলোতে এগুলো থাকলেও ঠিকমতো মেনটেন করা হয় না । যতীন দারোগা হাওড়াতে আসার পর সেগুলো ভালো মত রক্ষনাবেক্ষনের ব্যবস্থা করেন। এতে সুবিধা হয়েছে অনেক। ভুক্তভোগী বা সাধারণ লোকজন অপরাধীদের ছবি দেখে সহজে আইডেন্টিফাই করতে পারে।

          ‎প্রতিদিনের মতো সেদিনও সকাল থেকে থানায় বসে কাজকর্ম দেখাশোনা করছিলেন যতীন দারোগা। দেখতে দেখতে দেয়াল ঘড়ির কাঁটাটা দুটোর ঘরে পৌঁছে গেল । তা দেখে যতীন দারোগা ভাবলেন, দুপুরের লাঞ্চটা সেরে আসবেন। এমন সময় রেলের এক কর্মী এসে ঢুকলো থানাতে। কর্মীটি স্টেশন মাস্টারের ওর্ডারলি। যতীন দারোগা তাকে ভালো মত চেনেন । সে নমস্কার জানিয়ে যতীন দারোগার দিকে একটা খামে মোড়া চিঠি এগিয়ে দিয়ে বলল, স্যার পাঠিয়েছেন ।

          ‎যতীন তারকা সেটা হাতে নিয়ে খামের মুখটা খুলে চিঠিটা বার করলেন । দু'পাতার চিঠি । একটি লাইনম্যানের, অন্যটি স্টেশন মাস্টারমশাইয়ের । চিঠির বয়ান ইংরাজীতে লেখা । যার বাংলা করলে দাঁড়ায়-- মহাশয় ! রাজারামতলার লাইনম্যান সুখেন্দু পালের কাছে একটি লিখিত সংবাদ পেলাম যে, রাজারামতলা স্টেশনের নিকটস্থ দুইয়ের বি পোস্টের কাছে, রেললাইনের পাশে একটি অপরিচিত ১৬/১৭ বছরের ছেলে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে । সম্ভবত খড়্গপুর-হাওড়া লোকাল ট্রেনে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে । এই ঘটনার যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আপনাকে অনুরোধ করা হচ্ছে ।

          ‎ আশিষ দাসগুপ্ত। হাওড়া রেলওয়ে জংশন ।লাঞ্চ খাওয়া মাথায় উঠল যতীন দারোগার । রেলের ওর্ডারলিকে বিদায় দিয়ে নিজের অর্ডারলিকে ডেকে হুকুম করলেন, মেজবাবুকে ডাকো।

         জ্যোতিষ বাবু খবর পেয়ে চলে এলেন থানাতে। তাকে সামনে পেয়ে যতীন দারোগা বললেন, মেজবাবু ! রাজারামতলা রেলস্টেশনের কাছে একটা ডেডবডি ডিটেকশন হয়েছে। প্রয়োজন মতো লোকজন নিয়ে নাও। আমি দুটো খেয়ে আসছি। তোমার সাথে ঘটনাস্থলে যাব। দেখে আসব ঘটনাটা মার্ডার কেস, না এক্সিডেন্ট কেস।

          ‎মেজ বললেন-ঠিক আছে স্যার!বড়বাবু চলে গেলেন খেতে। হাঁকডাক করে, লোকজন জড়ো করে, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে রেডি হলেন মেজ বাবু । ইতিমধ্যে বড়বাবু চলে এলেন থানায় । তারপর একসাথে বেরিয়ে পড়লেন অকুস্থলের উদ্দেশ্যে । মোটামুটি খড়গপুর গামি সব ট্রেন-ই রাজারামতলা স্টেশন ছুঁয়ে যায়। তাই তারা সকলে মিলে একটা লোকাল ট্রেনে চেপে বসলেন।

          ‎হাওড়া থেকে রাজারামতলার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। মিনিট পনেরোর মধ্যে তারা পৌঁছে গেলেন রাজারামতলা রেলস্টেশনে । ওখান থেকে একজন গ্যাং ম্যানকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হলেন ঘটনাস্থলে। লাস দেখতে সেখানে ভিড় করেছিল অনেকজন। পুলিশ আসতে দেখে তারা একটু দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ালো । অনেকে উন্মুখ হয়ে লাস দেখে চেনার চেষ্টা করল ।

          ‎খাতা-কলম নিয়ে লাস ঘেষে বসে পড়লেন জ্যোতিষ বাবু । যতীন দারোগা মনোযোগ সহকারে দেখতে থাকলেন লাস । লাসটা উপুড় হয়ে রেললাইনের পাশে খোয়ার উপরে পড়েছিল । গায়ে সাদা সার্ট । পরনে কালো রঙের ফুল প্যান্ট। কোমরে চওড়া বেল্ট । পাশে পড়ে আছে একটা ফোল্ডার। তাতে বই, খাতা, কলম । কনুইয়ের কাছে থেঁতলানো আঘাত - সেই আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে চুঁইয়ে চুঁইয়ে রক্ত পড়ছে। জামার একপাশে সেই রক্তের চিহ্ন বর্তমান। ট্রেন থেকে পড়ে গেলে সাধারণত যেমন হয় আর কি।

          ‎লাসটা উপুড় হয়ে পড়েছিল বলে তার সম্পূর্ণ মুখাবয়ব গোচরে আসেনি সাধারণ লোকজনের । যাতে তার মুখটা সহজে দেখা যায়, চেনা যায়, তাই শম্ভুকে লাসটা চিৎ করে দিতে বললেন যতীন দারোগা । শম্ভু ডোম সাথে গিয়েছিল। সে যত্ন সহকারে লাসটা চিৎ করে দিল, যাতে খোয়ার আঘাতে নতুন করে আঘাত না লাগে লাসের শরীরে।

         যতীনদারোগা দৃষ্টি নিবদ্ধ করেন লাসের দিকে। মৃতের গায়ের রং ফর্সা । সুদর্শন চেহারা । বয়স বছর ষোল হবে। মাথায় ছোট ছোট কালো চুল । হাল্কা গোঁফ। ঠোঁটের কোনায় শুকনো রক্তের দাগ । যতীন দারোগা সমবেত লোকজনদের উদ্দেশ্য করে বললেন,লাস দেখে কেউ চিনতে পারছেন, ছেলেটা কাদের বাড়ির ?

          ‎লোকজনেরা সব এ ওর মুখের দিকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে দেখতে থাকলো, কিন্তু কেউ চিনে উঠতে পারল না। যতীন দারোগা বুঝতে পারলেন ছেলেটির বাড়ি ধারে-কাছে কোথাও নয় । পরে আরো অনেক লোকজনের কাছে জানতে হবে । তাই তিনি ফটোগ্রাফারকে ডেকে নিলেন কাছে। নির্দেশ দিলেন বিভিন্ন এঙ্গেলে  মৃতদেহের ছবি তুলতে।

          ‎লাশ দেখে যতীন দারোগার মনে হলো, এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। মরবে বলে সে ট্রেনের তলায় শুয়ে পড়েনি । ঝাঁপ দেয় নি । সেটা বোঝা যাচ্ছে তার দেহের অবস্থান দেখে। লাইনের বেশ কিছুটা দূরে পড়ে আছে তার দেহ । মরবে ভেবে কেউ যদি ট্রেন থেকে ঝাঁপ দিত, তাহলে মৃত্যুর আগে একটা সুইসাইড নোট লিখে রাখত । মৃতের জামা, প্যান্টের পকেট সার্চ করলে তার হদিশ পাওয়া যাবে। দেখে বোঝা যাচ্ছে এটা হত্যা, আত্মহত্যা নয় । কেউ তাকে হত্যা করার জন্য চলন্ত ট্রেন থেকে ঠেলা মেরে ফেলে দিয়েছে। এসব কথা চিন্তা ভাবনা করে যতীন দারোগা বললেন-- শম্ভু ! মৃতের জামা প্যান্টের পকেটে হাতড়ে দেখ কোন কিছু পাওয়া যায় কিনা? ভালো করে দেখ, কোন মানিব্যাগ বা কাগজপত্র আছে কিনা? হাতের মুঠিটাও ভালো করে দেখিস, কোন কিছু আছে কিনা?

          ‎শম্ভু মৃতের জামা প্যান্টের পকেটগুলো ভালো করে দেখলো। মানিব্যাগ পেয়ে সেটাও খুলে দেখল । কিন্তু কোথাও কোনো সন্দেহজনক জিনিস দেখতে পেল না। পেল না কোন সুইসাইড নোট । কিন্তু মৃতের ডান হাতের মুঠিতে পেল ভাটার মতো একটা ছোট্ট কাঠের জিনিস। সেটা যতীন দারোগাকে দেখাতে তিনি বুঝে গেলেন সেটা একটা ছাতার বাঁট । তা দেখে তিনি সাথে সাথে মেজবাবুকে বললেন, মেজ বাবু ! ইট ইজ এ কেস অব মার্ডার । ট্রেন থেকে কেউ একে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছে। যার ফলে মৃত্যু। এর সুরতহাল রিপোর্টটা একটু বুঝেশুনে লিখবেন। কোন জায়গায় বুঝতে অসুবিধা হলে আমাকে বিনা দ্বিধায় জিজ্ঞাসা করে নেবেন।

          ‎জ্যোতিষবাবু মৃতের সুরতহাল রিপোর্ট লিখতে ব্রতী হলেন। যতীন দারোগা শুরু করলেন জিজ্ঞাসাবাদ । খুঁজতে থাকলেন প্রত্যক্ষদর্শীকে। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কি সহজে মেলা সম্ভব ? লাস পড়ে থাকতে দেখেছে অনেকেই । কিন্তু কখন পড়লো? কিভাবে পড়ল ? কোন ট্রেন থেকে পড়ল? সেসব লোকের সন্ধান কি পাওয়া যায় সহজে? অথচ এইসব প্রশ্নের উত্তরই হল তদন্তের মূলা আধার। তার হাত ধরে তদন্ত এগোবে । পৌঁছানো যাবে অপরাধীর কাছে। কিন্তু সেরকম কোনো লোকজন পাওয়া গেল না সেখানে।

          ‎এসব প্রশ্নের উত্তর এখন পাওয়া না গেলেও পরে পাওয়া যাবে। এ ব্যাপারে সুনিশ্চিত যতীন দারোগা। একটা ৮/১০ বগির ট্রেনের লোকজন, কেউ না কেউ তো দেখে থাকবে। ঘটনাটা তো আর আঁধার রাতে ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে বেলা বারোটা থেকে দুটোর মধ্যে। তাই মনে কিছুটা স্বস্তি ছিল যতীন দারোগার ।

          ‎মৃতদেহ নিয়ে যখন চিন্তাভাবনা করছিলেন তখন যতীন দারোগার মনে হল, মৃতের পরিচিতিটা পেলে তদন্তের কাজে অনেকটা সুবিধা হত। কিন্তু এখনই বোধহয় তা পাওয়া সম্ভব হবে না। থানায় ফিরে মৃতের ফোল্ডারগুলো একটু ভালো করে দেখতে হবে। যদি কোন সূত্র খুঁজে পাওয়া যায় তার বই খাতা থেকে। তাহলে অতি সহজেই মৃতের বাড়িতে খবর দেওয়া যাবে । সেখান থেকেও বেশকিছু পজেটিভ খবর পাওয়া যাবে । যা তদন্তের কাজে অনেক সহায়ক হবে। অপরাধীদের ধরার পথ খুলে যাবে।

          ‎জ্যোতিষবাবু মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট, ডেড বডি চালান সব তৈরি করে, এক কনস্টেবলকে সব বুঝিয়ে দিলেন। লোকজনের সাহায্য নিয়ে ডেড বডিটা তুলে দিলেন একটা রিক্সাভ্যানে। রিক্সাভ্যান নিয়ে কনেস্টবল ও ডোম রওনা হল হাওড়া মেডিকেল হাসপাতালের উদ্দেশ্যে। সেখানেই ডেডবডির ময়নাতদন্ত হবে।

          ‎সব কাজকাম শেষ করে জ্যোতিষ রায়, কনস্টেবলদের সাথে নিয়ে যতীন দারোগা রওনা হলেন থানার উদ্দেশ্যে।



 ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস ( প্রথম পর্ব

প্রতি বৃহস্পতিবার  অঙ্কুরীশা-র পাতায় ক্লিক করে পড়ুন আর মতামত জানান।       

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন