বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

অঙ্কুরীশা-র পাতায় প্রকাশিত অন্য ক্যানভাস-এর দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব "স্বল্প কথার গল্প"। ৫ম পর্ব।

 


অঙ্কুরীশা-র পাতায় অন্য ক্যানভাসএর     ২০বছর উদযাপনের বর্ষব্যাপী অনুষ্ঠানের চতুর্থ পর্বে চলছে দুই বাংলার অনলাইন গল্প উৎসব~"স্বল্প কথার গল্প'"।উদ্বোধক হিসেবে পেয়েছি স্বনামধন্য কথা সাহিত্যিক সম্মাননীয় তপন বন্দ্যোপাধ্যায় কে। বিশেষ অতিথি গল্পকার হিসেবে পেয়েছি সম্মাননীয়া মৌ মধুবন্তী এবং সপ্তদ্বীপা অধিকারী কে।আজ উৎসবের ৫ম দিনে আছেন দুই বাংলার দুই বিশিষ্ট গল্পকার~ সুধাংশু রঞ্জন সাহা এবং মালীহা পারভীন। আপনাদের সবাইকে সাদর আমন্ত্রণ। উৎসব টি উপভোগ করুন। আপনাদের লাইক ও কমেন্ট এ আমাদের এই চলার পথ সুদৃঢ় হোক,এই আশা রাখি। 



                                     

শুভেচ্ছান্তে--

  সিদ্ধার্থ সাঁতরা                      

সভাপতি,উৎসব কমিটি।

বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়,

সম্পা,অন্য ক্যানভাস।

যুগ্ম আহ্বায়ক: মিতালী ত্রিপাঠী ও রীতা বেরা।




                           একটি প্রেমের গল্প

                                      সুধাংশুরঞ্জন সাহা

তখন অ্যাকাডেমিতে প্রতি শনিবার হিন্দি শিখতে যাই।  ছ'মাস অন্তর অন্তর পরীক্ষা।  একটি নামকরা স্কুলের হিন্দির শিক্ষক ত্রিপাঠীস্যার ছিলেন আমাদের টিচার।   ক্লাসে সবিতা নামের একটি মেয়ে পড়তো । বোর্ডের পরীক্ষা চলছে।  ত্রিপাঠীস্যার হলে ঢুকেই নকল সহ সবিতার খাতা কেড়ে নিলেন।ওদিকে সবিতা কেঁদেকেটে একসা। তার করুণ মিনতি, স্যার খাতা দিয়ে দিন, আর কখনও হবে না। অনেক বকাবকির পর স্যার খাতা ফেরৎ দিলেন । সবিতা পরীক্ষা দিল এবং প্রথম শ্রেণীতে পাশ করলো ।

আবার ক্লাস শুরু হয়েছে । সবিতা সবার আগে ক্লাসে আসে ।সবার শেষে যায় । স্যারের জন্য টিফিন বাক্স ভর্তি করে নানারকম খাবার আনে। আমরা পাঁচ-কানে নানা মুখরোচক খবর পাই।  পরের পরীক্ষা দিয়ে আমরা যে যার মতো বিচ্ছিন্ন।  বছর দুয়েক পরে একদিন গড়িয়াহাটে সবিতার সঙ্গে দেখা । ততোদিনে সবিতার বিয়ে হয়ে গেছে । সঙ্গে বর দু'এক কথা হতেই বলল, দাঁড়া আমার বরের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিই । আমি অবাক!  আরে, এতো ত্রিপাঠী স্যার ! শুধু পরীক্ষার হলে নয়, সারা জীবনের জন্যই ধরা পড়ে গেলি স্যারের হাতে!  স্যার হাসতে হাসতে আমায় জড়িয়ে ধরলেন আনন্দ..! 





                                 প্রতীক্ষা

                          মালিহা পারভীন


মঞ্জুলিকা। পাড়ার বাচ্চাদের পোশাকের দোকানে সেলস গার্লের কাজ নিয়েছে। স্বামী তাকে ছেড়ে যাবার পর কাজটা ওকে নিতে হয়েছে। 

মঞ্জুলিকা খেয়াল করেছে এক বয়স্ক ভদ্রলোক প্রতি বৃহস্পতিবার এসে ফ্রক নিয়ে যান।

আজও তিনি এসেছেন। গোলাপি একটা ফ্রক কিনলেন।  মঞ্জুলিকা প্যাকেটটা ভদ্রলোকের হাতে দিয়ে বলেই ফেললো  দাদা, প্রতি সপ্তাহে আপনি একই মাপের জামা নিয়ে যান কেন ?  ভদ্রলোকের চোখ উজ্জ্বল দেখালো। উচ্ছসিত হয়ে বললেন : ' আমার একটা  মিস্টি ছোট্র নাতনি আছে।  বৃহস্পতিবার ও ওর বাবা মায়ের সাথে আমার কাছে বেড়াতে আসবার কথা। ওর জন্য জামা কিনে রাখি। আর কিছু না বলে গাড়িতে উঠলেন তিনি। মঞ্জুলিকাও  প্রতি রাতে ঘুমাবার আগে গায়ে সুগন্ধি মাখে। ঘুমের মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ শুনে।  প্রতিরাতে সেও অপেক্ষা করে তার স্বামী ফিরে আসবার। কিছু প্রতীক্ষা শেষ হয়, কিছু প্রতীক্ষা প্রতীক্ষাই থেকে যায়। মঞ্জুলিকা দীর্ঘশ্বাস ফেলে।



























 



   


২টি মন্তব্য: