দুটি কবিতা
জন্মেঞ্জয় ঘোড়াই
কয়েদীর কান্না
হে কয়েদী, ক্ষত বিক্ষত হও তুমি মুখ মুখোশের খোলা পাতায়
হয়তো বা শব্দ কল্পভূমে মিশরের মমীর ব্যানারে
জীবন্ত ফসিলের বেড়ে ওঠা ছাতায়।
যে ছিল চেনা তোমার ফুটন্ত জোয়ারের অচেনা স্তূপ
আজও তুমি অসহায় চিত্র নাট্যের রঙ্গভূমে,
জীব কল্প জীবন তোমার ছিন্ন মায়া, ছিন্ন মোহ সুরম্য আবার নিকর
কারার শাস্তিতে তুমি চিরতরে নিথর কলেবর
হতাশ হুতাশনে ঝরে তোমার অশ্রু ধারা।
হে কয়েদী,তুমি তো আবিষ্কৃত খুশীর জীবন্ত ফসল ছিলে
চন্দন চিতার বুকে তুমি সঙ্গহীন নও,
হাড় গিলে খাওয়া পাখির ছলে বা নিকৃষ্ট রসায়নে কান্না শুনি বারেবার
-এ কেমন বিচার কামনার সমাচারে
মেরুদন্ড প্রতিদিন বাঁকা হয়ে যায় সময়ের আবর্তে
তবুও তোমার বাণী বিষাক্ত বীণের ছোবলে কারাগারে কাঁদে আপন গতিতে নীরবে নির্জনে শয়নে স্বপনে ।
অক্ষর সাজাতে গিয়ে
শূন্যতার সাথে—
পরিচিত সহবাসের পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতে ভুলে গেছি
মজার পোতাশ্রয় থেকে অন্তরের কালিমা
ভুলে গেছি , ত্রি-বর্ণে বর্ণিত বর্ণময় পাড় গুলো।
অনুকূল আর প্রতিকূলে কলুর বলদের মত
খুঁজেছি ঊষার শান্ত মুহূর্ত,
কলকলে রব ধরে পবনের পিছু পিছু দেখেছি
শুধু কাষ্ঠ শয্যায় চিতার আগুনের কান্নার স্বরলিপি
এক একটা অক্ষর স্বপ্ন হয়ে ফিরে আসে বারেবার স্বার্থের খেলাঘরে
কে জ্ঞানী কে মূর্খ কে ধনী কেবা ক্ষুধার্ত,
শিক্ষা বিহীন অক্ষর গুলো জলছবির তুলিতে কে যেন এঁকে দেয়।
পাখি ঘরে ফেরার আগে খোঁচা মারে অনুভূতির মর্মে
মিথ্যেবাদীর কৃত্রিম কান্নায়,
অক্ষর গুলো দীর্ঘ পথ হেঁটে হেঁটে বড়ই ক্লান্ত
আমি অসহায়, যন্ত্রণা গুলোকে অশ্রু দিয়ে ঢেকে
অক্ষর গুলোকে সাজাই লাশের বর্ণমালায় হায়!
----------------------------------------------------------------
মতামত জানান।
এই বিভগে মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
ankurishapatrika@gmail. gmail. com
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন