বুধবার, ১৪ অক্টোবর, ২০২০

ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস। একটি মার্ডারঃ এবং তারপর...। সৈয়দ রেজাউল করিম ।।

 









ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাস : (২য় পর্ব)

একটি মার্ডারঃ এবং  তারপর...  

 সৈয়দ রেজাউল করিম




        থানায় ঢুকতেই খবর পেলেন আর. এস. পি. সাহেব বড়বাবুকে দেখা করতে বলেছেন। আর. এস পি. অর্থাৎ রেলওয়ে সুপারিনটেন্ড অফ পুলিশ। সমগ্র ইর্স্টান রেলওয়ে পুলিশের বস। স্বভাবতই যতীন দারোগাকে গিয়ে তার সাথে দেখা করতে হবে। কিন্তু তিনি তো বড়বাবুকে এমনি মুখ দেখতে ডাকেননি। খবরটা নিশ্চয়ই শুনেছেন। মৃত ছেলেটির ব্যাপারে হয়তো জানতে চাইবেন। সবকিছু শুনে করণীয় কর্তব্যের ব্যাপারে কিছু ইনেস্ট্রাকশান দেবেন। কিন্তু ছেলেটির ব্যাপারে এখনো তেমন তথ্য পাওয়া গেল না । তাহলে কি বলবেন তার কাছে গিয়ে ?

        ‎এইসব নিয়ে যখন চিন্তা-ভাবনা করছেন, সেই সময় উত্তম বলে একটা ছেলে থানায় এসে হাজির হল। উত্তম হল যতীন দারোগার একান্ত অনুগত সোর্স । পুলিশের পক্ষে যে কাজটা সহজে করা সম্ভব না, সেই কাজটা সোর্সরা অতি সহজে করে আসতে পারে । তাছাড়া তারা বিভিন্ন রকম খবর নিয়ে আসে। সেই খবরে অনেক সময় অপরাধীরা অপরাধ করার আগেই ধরা পড়ে । বমাল । অনেক অসাধ্য খবর তারা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। এর জন্য সরকার কিছু টাকা পয়সা ব্যয় করে । পুলিশ প্রশাসনের হাত দিয়ে সেই টাকা খরচা হয়। খবরের যথার্থতা নির্ধারণ করে ইনাম হিসাবে সোর্সদের তা দেওয়া হয়। তাই উত্তমকে কাছে পেয়ে সবিস্তারে ঘটনাটা বলেন যতীন দারোগা। অবশেষে নির্দেশ দেন-- খোঁজ নে তো, ছেলেটা কে ? কোথায় তার বাড়ি ?

        ‎-- ঠিক আছে স্যার ! আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

        ‎একথা বলে উত্তম বেরিয়ে গেল থানা থেকে। যতীন দারোগা বেরোলেন সাহেবের সঙ্গে দেখা করতে। থানার পাশেই অন্য বিল্ডিংয়ে আর. এস. পি. সাহেবের অফিস । দু' তিন মিনিটের পথ। তাই খুব তাড়াতাড়ি যতীন দারোগা পৌঁছে গেলেন সাহেবের অফিসে। যতীন দারোগা এসেছেন শুনে সাহেব তাকে ডেকে নিলেন। পুরানো কয়েকটা কেসের ব্যাপারে খুঁটিনাটি জেনে নিলেন। তারপর তিনি শুধালেন-- রাজারামতলায় আজ কি ঘটেছে ?

        ‎বড়বাবু এক এক করে সমস্ত ঘটনা বর্ণনা করলেন।  ডেডবডি এখনো আইডেন্টিফাই হয়নি শুনে তিনি বললেন-- মৃতের কয়েকটা ছবি আমার কাছে পাঠিয়ে দাও। ক্যাপশন লিখে। ওটা আমি রেডিও এবং টেলিভিশনে সম্প্রচার করার জন্য পাঠিয়ে দেব। আর সব জেলার থানা, জি.আর.পি. থানা, ফাঁড়িতে মেসেজ লিখে পাঠিয়ে দাও।

        ‎-- আজ্ঞ স্যার ! আমি থানায় ফিরে ওগুলো করে দিচ্ছি।

        ‎-- আর খোঁজ নাও, থানাতে কোন মিসিং ডায়রী হয়েছে কিনা না ? না হলে কেসটা ডিটেকশন করতে অনেক বিলম্ব হবে ।

        ‎কেসের ব্যাপারে আরো অনেককিছু আলোচনা করে ঘন্টাখানেক পরে থানায় ফিরলেন যতীন দারোগা। জ্যোতিষ বাবুকে ডেকে মেসেজ লেখালেন । আর.এস.পি-র অফিসে কেস রেফারেন্স, সংক্ষিপ্ত বায়োডাটা সহ মৃতের ছবি পাঠিয়ে দিলেন । তারপর জ্যোতিষবাবুকে নিয়ে কেসটার ব্যাপারে আলোচনা করতে বসলেন।

        ‎তাদের আলোচনার সারমর্ম হল-- ছেলেটা কোথা থেকে আসছিল, কিংবা কোথায় যাচ্ছিল, কোন স্টেশনে নামার কথা ছিল, তা নির্ধারণ করতে হবে । খুব সম্ভবত ছেলেটার স্থানীয় কোন এলাকার। স্টেশন মাস্টারের কাছে গিয়ে জানতে হবে, গ্যাং ম্যান কখন, কটার সময়, লাসটা দেখেছিল ? সেই সময় যদি ১টার মধ্যে হয়, তাহলে ১০টা থেকে ১টার মধ্যে ওই লাইন দিয়ে কোন কোন ট্রেন এসেছিল বা গিয়েছিল ? থানায় থানায় ফোন করে জানতে হবে তাদের এলাকায় কোন কোন ছেলের নামে মিসিং ডায়েরি হয়েছে ? এরকম আরো অনেক কিছু ।

        ‎মেজবাবু সেই সব তথ্য সংগ্রহ করার জন্য থানা থেকে বার হয়ে গেলেন। যতীন দারোগা মৃতের পাশে পাওয়া ফোল্ডারটা নিয়ে বসলেন, যদি কোন ইন্টারেস্টিং তথ্য পাওয়া যায় তা থেকে ।

        ‎ফোল্ডারের মধ্যে ছিল তিনটে খাতা, দুটি বই। ফার্স্ট ইয়ারের জন্য কলেজের একটা টেক্সট বুক। একটা ফিজিক্সের বই। একটা অংকের খাতা। একটা ফিজিক্সের খাতা। আর একটা ইংরেজির খাতা। খাতা, বই-এর উপরে লেখা আছে মানস মিত্র। সম্ভবত সেটি ছাত্রের নাম। কিন্তু বাড়ির নাম ঠিকানা কিছু লেখা নেই । যতীন দারোগা খাতা, বইপত্তর উল্টেপাল্টে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখলেন, কিন্তু কোথাও কোন ঠিকানা খুঁজে পেলেন না ।

        ‎ছেলেটি যে ছাত্র, তা আগেই বুঝে গিয়েছিলেন যতীন দারোগা। কিন্তু বাড়ির ঠিকানা না থাকলে তো মানস মিত্রের মতো একটা সাধারন ছেলের খোঁজ খবর পাওয়া যাবে না সহজে। তাই আর একবার বইখাতার পাতা উল্টে পাল্টে খুঁজতে শুরু করলেন। কিন্তু খোঁজা সম্পূর্ণ করতে পারলেন না । হঠাৎ টেবিলের উপর রাখা ল্যান্ডলাইন ফোনটা আর্তনাদ করে উঠল। হন্তদন্ত হয়ে বই-খাতাপত্র ফোল্ডারের মধ্যে ঢুকিয়ে ফোনটা ধরলেন যতীন দারোগা । হ্যালো বলতেই অপর প্রান্ত থেকে শুনতে পেলেন উত্তমের গলা।

        ‎-- স্যার । আমি উত্তরপাড়াতে এসেছিলাম। খোঁজখবর করে জানতে পারলাম, এখানকার একটা ছেলে মিসিং আছে। বয়স বছর ষোল। সুন্দর মুখশ্রী। মাথার চুল ছোট ছোট করে ছাঁটা। আপনি যেমন বলেছিলেন, ঠিক সেই রকমই। আমি স্টেশনে দাঁড়িয়ে আছি যদি আপনি আসেন... ।

        ‎সে প্রশ্নের উত্তর দেবার আগেই যতীন দারোগা পড়ে গেলেন ভাবনায়। ঘটনা ঘটেছে রাজারামতলার কাছে। সেটা হলো হাওড়া-খড়গপুর লাইনে। আর উত্তরপাড়া হলো হাওড়া-তারকেশ্বর, হাওড়া-বর্ধমান লাইন। দুটো ভিন্ন দিকে, ভিন্ন মেরুর স্টেশন। ছেলেটি কি তাহলে খড়গপুর লাইনের নয় ? মনের মধ্যে খোঁচা দিতে থাকলো সেই প্রশ্নটা। সন্দেহ জাগল যতীন দারোগার মনে । আবার মনে হলো, এরকমটা হলেও হতে পারে। যে কেউ এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যেতে পারে। সম্ভবত ছেলেটি উত্তরপাড়ার ও হতে পারে। না হলে রামরাজাতলার আশেপাশের লোকজন কেন মৃতকে চিনতে পারলো না ? আর ঠিক সেই সময়ে যতীন দারোগার মনে পড়ে গেল মৃতের বই-খাতার কথা। তিনি সাথে সাথে উত্তম কে জিজ্ঞাসা করলেন-- আচ্ছা উত্তম ! তুই কি ছেলেটারঁ নাম-টাম জানতে পেরেছিস ?

        ‎উত্তম খুব দৃড়তার সাথে জবাব দিল-- হা স্যার ! ছেলেটির নাম মানস মিত্র।

        ‎মানস মিত্র নামটা শুনে যেন বিদ্যুৎ খেলে গেলো যতীন দারোগার মাথায়। মনে হলো, তিনি যেন বরাতজোরে ১০ কোটি টাকার লটারি পেয়েছেন। অঙ্কটা যেন মিলে গেল অতি সহজেই। ছেলেটির বাড়িতে পৌঁছতে পারলে এ কেসের সমাধান মুহূর্তের মধ্যে হয়ে যাবে। ধরা পড়ে যাবে আসামী। তাই তিনি বললেন-- তুই স্টেশনেই থাক। মেজবাবুকে সাথে নিয়ে আমি আসছি উত্তরপাড়া স্টেশন।

        ‎হাওড়া থেকে উত্তরপাড়া স্টেশন বড়জোর দশ বারো কিলোমিটার। ফোর্স জোগাড় করতে যা একটু সময় বিলম্ব হলো। রাত দশটার মধ্যে উত্তরপাড়া রেল স্টেশনে পৌঁছে গেলেন তারা। পুলিশ দেখে চা দোকান থেকে বার হয়ে এল উত্তম। চাপা গলায় যতীন দারোগাকে বলল-- স্যার ! এখানে আপনারা একটু অপেক্ষা করুন। আমি আমার সাগরেদকে পাঠিয়েছি মানসের বাড়ির লোকেশনটা দেখে আসতে। রামু এখনই এখানেএসে পড়বে ।

        ‎মিনিট দশেকের মধ্যেই উত্তমের সাকরেদ রামু চলে এল রেলওয়ে স্টেশনে। তার সঙ্গে কথাবার্তা বললেন যতীন দারোগা। তাকে সাথে নিয়ে যতীন দারোগা তার দলবল নিয়ে বেরিয়ে পড়লেন। অন্ধকার রাত। গ্রামের পথ। এবড়ো থেবড়ো রাস্তা। হোঁচট খেতে খেতে যাচ্ছিল তারা। পথে গ্রামের অনেক লোকের সাথে দেখা হলো তাদের। নানান জন নানান কথা জিজ্ঞাসা করতে থাকলো পুলিশদের। কেউ কোনো জবাব দিল না সে কথার। শুধু যতীন দারোগা তাদের বললেন-- আমরা একটা কাজে এসেছি। মানস মিত্রের বাড়িতে যাব একটু। 

        ‎সে কথা শুনে তারাও পথ নির্দেশ দিল । পনের মিনিটের মধ্যে মানস মিত্রের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন যতীন দারোগা । বাইরে ফোর্সরা দাঁড়িয়ে থাকলো । যতীন দারোগা আর মেজবাবু গিয়ে ঢুকলেন বাড়িতে । পুলিশের লোকজন দেখে বাড়ির লোকজন হতভম্ব হয়ে গেল। অশুভ আশঙ্কায় দুলে উঠলো তাদের প্রাণ । তাদের চোখ মুখ দেখে জটিল দারোগা বুঝতে পারলেন এখনও তারা মানস মিত্রের পরিণতির কথা জানতে পারেনি। তাই তারা উদ্বিগ্ন, চিন্তিত । যতীন দারোগা তাই সরাসরি মানস মিত্রর মৃত্যু সংবাদ না দিয়ে তার বাবাকে শুধালেন-- কটার সময় মানস মিত্র বাড়ি থেকে বার হয়েছিল ?

        ‎মানস মিত্রের বাবা মানব মিত্র বললেন-- ভোর ছ'টায়। বর্ধমান কলেজে একটা ইন্টারভিউ ছিল। তাই তাড়াতাড়ি বার হয়েছিল বাড়ি থেকে ।

        ‎-- সাথে কেউ গিয়েছে ? মানে, মানসের কোন বন্ধু-বান্ধব বা অন্য কেউ ?

        ‎-- তা বলতে পারবো না । মানব বাবু বললেন-- শুনেছি ওর এক বন্ধু রাজারামতলায় বাড়ি, সেও ইন্টারভিউতে ডাক পেয়েছে। সে গিয়েছে কিনা বলতে পারবোনা।

        ‎-- তার নাম কি জানেন ?

        ‎-- না, ডিটেলস কিছু বলতে পারব না।

       -- প্রশ্নটা করা ঠিক হবে কিনা বুঝতে পারছি না। তবুও জিজ্ঞাসা করতে বাধ্য হচ্ছি। যতীন দারোগা খানিকটা চিন্তা করে বললেন-- আপনার ছেলে কি কখনো কোনো প্রেম ভালবাসায় জড়িয়ে পড়েছিল ?

        ‎-- না স্যার ! সাথে সাথে অত্যন্ত দৃঢ় কণ্ঠে প্রতিবাদী সুরে মানববাবু বললেন-- আমার ছেলে ওরকম প্রকৃতির নয় । তাছাড়া ওর বয়স বেশি নয়। সবেমাত্র বিএসসি পাশ করেছে। চাকরির খোঁজে, নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কোচিং নিচ্ছে। এখনো পড়াশোনার মধ্যে আছে। ওসব ঝুট ঝামেলার মধ্যে নেই। 

        ‎-- কারোর সাথে কোনো মনোমালিন্য, বা ঝগড়া মারপিটে জড়িয়ে পড়েছিল কিনা ?

        ‎-- না স্যার ! শুধু তাই নয়, মান নেশা করা দূরে থাকুক, একটা সামান্য পানও খেত না।

        ‎তারপর কি ভেবে মানববাবু বললেন-- আপনি স্যায এসব কথা জানতে চাইছেন কেন ? ওকে কি কোন অপরাধমূলক কাজে পুলিশ এরেস্ট করেছে ?

        ‎যতীন দারোগা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন। এমন সময় এক যুবক হন্তদন্ত হয়ে ঢুকলো সেখানে। তাকে দেখে মনের সন্দেহ নিরসন হল মানব বাবুর । তিনি ব্যতিব্যস্ত হয়ে যুবককে বললেন-- এতক্ষণ কোথায় ছিলিস ? তোর জন্য আমরা চিন্তায় মরছি ।

        ‎-- কি করব বাবা ! যুবক একটা গভীর দীর্ঘশ্বাস ফেলে দেরির কারণ ব্যাখ্যা করতে বলল-- বর্ধমান থেকে আসার পথে শেওড়াফুলিতে ঝুলিয়ে দিল গাড়িটা। প্রায় একঘন্টা লেগে গেল ওখানে। তাই ফিরতে দেরি হল ।

        ‎মানববাবু বললেন-- আমরা চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম । তোর কোন খোঁজ-খবর না পেয়ে উত্তর পাড়া থানার পলাশকাকুকে ফোন করেছিলাম।একটা মিসিং ডায়েরি করার জন্য। তাই থানা থেকে বাবুরা এসেছেন তদন্ত করতে ।

       যতীন দারোগা বুঝতে পারলেন সমস্ত ব্যাপারটা। এটা যে একান্ত নাম বিভ্রাট, তা উপলব্ধি করলেন মর্মে মর্মে। ভাগ্যিস তিনি বলে ফেলেনি, আপনাদের ছেলে মারা গেছে। তাহলে কেলোর কীর্তি বেধে যেত এতক্ষনে । এখন সমস্যা যখন মিটে গেছে তখন আর সে কথা বলে লাভ কি ? তাই ব্যাপারটা সামাল দিতে যতীন দারোগা বললেন-- তাহলে এক কাজ করুন মানবাবু ! ছেলে যে আপনার ফিরে এসেছে, তাকে খুঁজে পাওয়া গেছে, তা লিখিতভাবে থানায় একটা জানিয়ে দিন ।

        ‎মানববাবু ঝটপট একটা কাগজ বের করে লিখে দিলেন। সেই কাগজটা হাতে নিয়ে যতীন দারোগা তার দলবলকে সাথে নিয়ে বার হলেন মানসদের বাড়ি থেকে। পথে কাগজটা উত্তমের হাতে দিয়ে যতীন দারোগা বললেন-এটা ও.সি. উত্তরপাড়া কে দিয়ে দিস । ফোনে আমি কথা বলে নেব সমরের সাথে।

        ‎ফেরার পথে যতীন দারোগা মনে মনে ভাবলেন, এক নতুন অভিজ্ঞতা। এসব কথা জানলে ঘোড়াও হাসবে।


----------------------------------------------------------------

এই ধারাবাহিক গোয়েন্দা উপন্যাসটি প্রতি বৃহস্পতিবার   অঙ্কুরীশা-র ওয়েবসাইট ক্লিক করে দেখে নিন। 

মতামত জানান।


এই বিভাগে মৌলিক ও অপ্রকাশিত লেখা পাঠান - 


ankurishapatrika@gmail. com   -এই মেলে। 


----------------------------------------------------------------         

          




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন