পিচ্ছিলতা
অরণ্য আসলে একটি পিচ্ছিল শব্দ–
ঘেন্না, অবহেলা, শ্লাঘা এসে বেশীক্ষণ দাঁড়াতে পারে না
অক্ষরে
দীর্ঘশ্বাস নিতে যতগুলো বায়ুর প্রয়োজন ততগুলো সুখ
বিনিময় করা যায় গাছের সাথে
আসলে গাছেরও একটি নিজস্ব সারাদিন আছে
ফড়িঙের ডানায় চোখ রাখার অর্থ জেনেছে গাছ
অরণ্যে যাবার আগে মানুষ তুলকালাম খোঁজে মধ্যবয়স
পাঁজর ভেঙে বানায় পোশাকি বোতাম
গাছ বোতামের ছিদ্র দিয়ে লক্ষ্য করে মানুষের বুকের ভেতর গজিয়ে ওঠা রিং
প্রথম বৃক্ষ পেরিয়ে যাবার পর দুলে ওঠে মনুষ্য আশ্রয়
পিছল খেতে খেতে একদিন
মানুষের ঠোঁট ভেঙে বেরিয়ে আসে শীর্ণ অন্ধকারের
আওয়াজ।
উপমহাদেশ
ধরা যাক, মেধার ভেতর গোপনে কেউ এসে লিখে দিল উপমহাদেশ।
যন্ত্রনা বুঝতে না পেরে মাঝে মধ্যেই টলে পড়লে সারাংশহীন খৃষ্টাব্দে।
মেধা হাতে নিয়ে এদিক ওদিক এখানে সেখানে দৌড়ে গেলে, কিন্তু
কেউ এসে একবারও বলল না উপমহাদেশ একটি সংক্রামিত রোগ।
এসব কিছু বোঝার আগেই হাই তুলতে তুলতে একদিন ঘুমিয়ে পড়লে
স্থির মালগাড়ির পেছনটায়। কারা যেন তুলে নিয়ে আবার লিখে দিল
মেধা একধরনের ভয়ানক মৈথুন। তারপর থেকে তোমাকে অন্ধকারে
হাসতে দেখেছে অনেকে। হাসি না থামিয়ে অন্য উপমহাদেশের দিকে...
আলোর মৌলিকত্ব
মরা মাছের মতো নড়েচড়ে উঠি, আজকাল
যেভাবে নড়েচড়ে ওঠে খোসার ভেতরে বাদাম
লিখতে চাইনি, লিখতে চায় না কেউ বিকল ঝড়ের মুখ-
কারা যেন ধারালো রাষ্ট্রের মুখে দেহ ধ’রে বলে
ইহা আপনার ত্রুটি, আলোর মৌলিকত্ব
ইহা আপনার ধর্মনিরপেক্ষ পোশাকের ফল-
আরো একবার নড়েচড়ে উঠি, মহামারীর মতো–
ক্রমশ রাজপথে ছড়িয়ে পড়ে অসুখের কারণ-
ব্র্যাকেট
ব্র্যাকেট তুলে নিলে ছোটো হয়ে আসে জলের উচ্চতা
পুরনো আচারের মতো রোদ এসে চেপে ধরে নির্ভার পা
সংক্রমণের মতো জেঁকে ধরে বুক,
বুকের ভেতর থেকে
একটা একটা করে খসে পড়ে পাতা, রাষ্টের মাথায়
প্রতিটি ব্র্যাকেটের ভেতর থাকে অগুন্তি রেল-ব্রিজ
একটি অসংখ্যর পাশে আরেকটি অসংখ্যর স্নান দেখে মনে
হয়
পরিসীমা ঘিরে যে আগুন, তা সম্রাটের ভাঁওতা ছাড়া কিছু
নয়।
গভীর আয়তনে
রোদ, ফেলে রেখে চলে গেল তাকে, গভীর আয়তনে
বাঁদিকে বমির চিহ্ন, ডানদিকে চির অথবার দাগ
মূর্তির নিচে এত চাঁদ, নাভির যোগফল থেকে লতা
গজাবার শব্দে দুলে ওঠে নির্ভার ডিঙির জল
ঠোঙা বানাবার উৎসাহে স্থির শুঁয়োপোকা দল
অপেক্ষা হেঁটে যায় নিজেরই অপেক্ষার দিকে গভীর আয়তনে–
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন