শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০২০

দীর্ঘ কবিতা।। শঙ্কর তালুকদার

 





তোমার সৃষ্টির পথে যাওয়া আসা ছবি আঁকা যেন

শঙ্কর তালুকদার



মায়ার প্রাকৃত সে রূপে, সকলই প্রক্ষিপ্ত যুপে,

বৈচিত্র্যে, আকুল একাকারে - স্রষ্টা যে তুমি!


মোহের বন্ধনে ঘিরে, প্রত্যক্ষ সে প্রাণেরই টানে-

অনন্ত আবেসে নিরবধি। বুঝি বা অন্তর্যামী!


অজ্ঞতার মন্ত্র যেন, সে জ্ঞানের প্রাচুর্য  নিয়ে ফেরে

তোমারই নির্দেশে, আজ-অবধি ! বুঝি তা আমি-


সেই অজানার বাঁধনেই তো, সদা ঘিরেছো কালে'রে-

জ্ঞান শলা,গভীর মননেও যেন, কালের শুনানী-



সঙ্কেত রেখেছো সে কালেই, নিষেধের বাঁধনে'রে,

জড়িয়ে তোমারই নিয়মে! সে পথেরই সরণী-


রাখোনি ক্ষমার তৃণাগ্র ও সেথায়, মিথ্যার অবসরে,

অনাচার সংযমে যাহা- প্রান্তিক হয় সে পরিসরে।


দিন রাত্রি সকলের মাঝেই, নিয়মের পরকাষ্ঠা দিয়ে-

বেঁধেছো সকল মায়া, জীবনেরই অদৃশ্য বন্ধনে!


বিশ্ব ছেড়েও দূর পানে, প্রজ্ঞার সে প্রান্ত চেনা নিয়ে-

বিকশিত হতে দিয়ে কাল মাঝে-জ্ঞানের সন্ধানে!


আলোর গতির সাথে, বস্তুর সে শক্তিরে জুড়ে দিয়ে,

নিরবধি, নিয়তের সেই- প্রকাশের ছন্দ একাকারে!



অন্তরের তেমনই পথে, যেতে যেতে সম্মুখেরই পানে

কালের মাঝে, বিকশিত প্রকাশেই, একা শুধু সরে-


প্রচ্ছন্ন প্রকাশের মাঝে, সে প্রাবল্যতা তাই যেন প্রজ্ঞা হতে চায়,

সৃষ্টির নিয়ম মাঝেই রয়ে, চিরস্বচ্ছ সে যে!


ভাবনার গভীর হতে উঁকি দেয়, অবকাশে, কেবল ই অনায়াসে,

অনন্ত মাঝেই- বিশ্বাসের সহজ প্রকাশে-


আলোর দ্যূতি যেন ছবি হয়, কালের প্রান্তরে, হৃদয়ে,

অনুভূতি স্পর্শে প্রাণে, সত্যির সে অনন্ত অবকাশে!


অপ্রচ্ছন্ন ভাবনাও বয়ে চলে সদা, বিকাশের ই বিচিত্র প্রকাশে-

প্রচ্ছন্নতার লক্ষেই শুধু তা, সত্যরে পরশে!


কঠিন সে বাস্তব কভু,ছন্দ ব্যাঞ্জনায়, প্রকাশেই কেবল,

আর, যন্ত্রনার ছবি হতে চেয়ে সময়ে হারায় নিরবধি-


প্রাণ মাঝে জড়ত্বের, বস্তু মাঝে শক্তির, সেই অবয়বে

অকৃত্রিম  বৈচিত্র প্রকাশের নেশায়,জীবনেরই পরিধি;


বুঝি ব্যাপ্ত সে নশ্বরতাই, নিরলশ আকীর্ণতায় নিষেধের

পার্থিব প্রাচীর চূর্ণ করে, অনাগত অজানা সে কাল অবধি!


প্রচ্ছন্ন আলোর রশ্মি, প্রজ্জ্বলিত শিখা হয়ে কেবল ই 

সময় পেরিয়ে যায়, ছড়িয়ে কেবল সে মায়ার সুরভী;


তখন সে প্রজ্ঞাস্নাত প্রকৃতি, নিঃশেষে জড়ত্বের মাঝে,

সত্যের দ্যুতির যেন, হৃদয়েই আঁকা সে- রক্তকরবী!


সত্বা মাঝে আপন সৃষ্টিরে ফিরায়ে লয় সে কালপ্রান্তে

পরিনতি রূপে কেবলই যেন আপন আলোর অন্তরে।


কী যেন অমিল থাকে তবু, সে বিচিত্র প্রকাশ ধারায়

নিখিলের ব্যাপ্তিতে তাঁর, সে সৃষ্টির শৃঙ্খলা মাঝারে!


ফিরায়ে লয়ে তাই, পুনরায় বস্তু মাঝে প্রাণের ছবিরই ছন্দ ,

তালে,ফাঁদে, মাত্রায়, কেবল লয়হীন শৃঙ্খলার সন্ধানে-


বারংবার ই তাই সেথা, সময়ের মৃদঙ্গ বাজে- শব্দহীন,

আকারহীন প্রকাশে, যেন আলোর শক্তির ই বাধনে-


এই অনায়াসই যে পেরেছে ছলিতে,তোমার শিল্পাঙ্গনে 

কেবলই ল'য়ে,নিজ হাতে, শান্তির অক্ষয় অধিকার।


তোমার সৃষ্টির পথে, যাওয়া আসাই- ছবি আঁকা যেন-

ভাঙো গড়ো সকলই তো খেয়ালের খেলাই কখনো!







কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন