মনের ধ্বংসস্তুপে
মুখোশের আড়ালে লেগে থাকা মিষ্টি হাসির অন্তরালে গভীর অসুখ-এর বাস। ভাঙ্গনের উষ্ণতায় মৃদু আঙ্গুল ছুঁয়ে যুদ্ধ ভাসে ধ্বংসের খেলায়।
অতৃপ্ত হিংসার কামনার বীজ বিবস্ত্র অক্ষরে যাপন করে দেহে নীলাম্বর বর্ণে।
রক্তবর্ণ চন্দনের তিলক কপালে এঁকে। অবিকল চেনা রূপে নরম রোদে খসে পড়ে অমঙ্গলের উল্কা।
উন্মক্ত মনের ধ্বংসস্তূপে ফোটে একশো আটটা নীল পদ্ম ।
প্রতারক
মনের গাছে রেখেছি পুষে কাঠঠোকরা পাখি
ভালোবাসায় রাখবো ভরে, দেবে না আমায় ফাঁকি ।
তীক্ষ্ণ ঠোঁটের ঘা-এর আঘাত নামলো ধীরে ধীরে
বক্ষ জুড়ে বিষাদ আঁকে শুধুই ফিরে ফিরে।
নির্লজ্জ পাখি, কেবল ক্ষতের দিকে চায়
হৃদয় ডালে চিহ্ন এঁকে কী বলে সে যায়?
মনের গাছ একলা কাঁদে, পক্ষী প্রতারক
অবিরত মনের ডালে ঠোকরায় ঠক ঠকা।
মা
মহাকালের ডাক শুনে মা বাড়িয়ে দিল হাত
সাক্ষী কেবল আমরা এবং নির্ঘুম এক রাত।
বিষাদমাখা অন্ধকারে ছড়িয়ে যায় শোক
দাউ দাউ দাউ জ্বলছে আগুন, চিতায় রাখি চোখ।
মনখারাপের পাতা জুড়ে মৃত্যু লেখা ভয়
ছড়িয়ে থাকা স্মৃতি বুকের দেরাজে সঞ্চয়।
চোখের তারায় মাকে খুঁজি, ধূপের গন্ধ মাখি
গভীর রাতে ক্ষত চিহ্নে ছায়াশরীর আঁকি।
ইচ্ছে ডানা
আনমনা মেঘ ভেসে ভেসে যায় নীল আকাশের বুকে
কৃষ্ণ ঘন চুল উড়িয়ে অজানা কোন সুখে।
নিয়ম ভাঙ্গার উদযাপন শুধু মনের ঘরে
হাওয়ার সঙ্গে সই পাতিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝরে।
সব বারণের সীমারেখা ডিঙিয়ে আপন মনে
দিনরাত্তির স্বপ্ন খুঁটে সুখের জাল বোনে।
সিলেবাসের বাইরে গিয়ে মন খুজে নেয় ছুটি
আপন মনে উড়িয়ে দেয় ইচ্ছে ডানা দুটি।
অহংকার
আলো-আঁধারের বাঁকে উৎসের সন্ধানে শূন্য হাতে রণক্ষেত্রে একা।
উদ্ভ্রান্ত কালপুরুষ টালমাটাল পায়ে খুঁজে ফেরে গন্তব্য।
কোমরের অমসৃণ তরোয়াল, অহংকার-এর গভীরতা ছুঁয়ে সুখ কুড়াতে নিঃশব্দে ফুটো করেছিল নীল আকাশের বুক।
অদৃশ্য তারারা চক্কর কাটে দুঃস্বপ্নের রাতে।
মায়াবী মেঘের কপাল চুইয়ে পড়ে বিন্দু বিন্দু নীল অভিমান।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন