কেমন আছো সবাই, বলতে ঘুরে তাকালেন
এগিয়ে গেলেন, ঘুরে তাকালেন
আবার ঘুরে তাকালেন এগিয়ে
না, আর তাকালেন না।
রাস্তায় চলাচল ক্রমশ শূন্য থেকে শূন্য
এমন অবস্থায় আমরা কেমন ভাবে শ্বাস নেব
কেমন ভাবে আমরা গৃহবন্দি হব
আমাদের রুটি রুজি জীবিকা রাস্তা নির্ভর।
আমাদের এক কামরার ঘর, দশজন
পুরুষ মহিলা বাচ্চা কাচ্চা। ওই ঘরে রান্না, বাসনমাজা, শোয়া বসা
বাজার
বাজারে আজ মহোৎসব লেগেছে। যে পারছে বস্তা ভরে ভরে বাজার করছে।দামের কোনো জিজ্ঞাসা নেই। দাম দেবার গৌরী সেন আছেন।
গৌরী সেন নামটা সুপ্রাচীন। তিনি দাতা, কর্ণের নামও আসতে পারে। মহানুভব, মহাভারতের কর্ণকে নিশ্চয়ই মনে আছে
সেই কর্ণকে পুঁথিতে থাকতে দিন।
আমরা আজ বাজার অন্বেষণে আছি
হুড়মুড় করে জনগণ এ ওর ঘাড়ে
নিঃশ্বাস ফেলছে, থুতু ছেঁটাচ্ছে
ইমরান
দূরদর্শনে, লোক মুখে মুখে
রাস্তার মোড়ে মোড়ে, কেমন এক সতর্ক বার্তা
কেমন এক ভয় ধরানো বার্তালাপ
বাড়িতে থাকুন, সতর্ক থাকুন, ভালো থাকুন।
ভালো কেমন করে থাকব স্যার
অফিস কাছারি, ব্যবসা, হকারি
দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ আমরা-
কেমন করে থাকব স্যার?
সাইকেল রিক্সার পেছনে লেখা, ইমরান
কষ্ট করে রিক্সা ঠেলে
আপন মনে হয় সওয়ারী শূন্য রাস্তাকে বলে —
শান্তিবাবু
এবার নববর্ষটা কেমন করে চলে গেল
একটা ক্যালেন্ডার নয়, মিষ্টির বাক্স নয়
ঠাণ্ডা পানির বোতল নয় হাতে
কেমন সকাল হল, দুপুর হল, রাত হল
ল্যাপটপ, মোবাইল, ল্যান্ডফোন বাজল
তেমন নববর্ষ নয়, তেমন উৎসাহ নয়, তেমন উত্তাপও নয়
কেবল প্রবল উত্তাপ সূর্য কিরণে
আজ পয়লা বৈশাখ
ফুরফুরে দখিনা বাতাসে শান্তিবাবু বাগানে
তখন প্রভাত, একটু ফুল সংগ্রহ করে
গৃহদেবতার পায়ে দিয়ে বললেন
বলাইবাবু
ঘড়ির কাঁটা, ক্যালেন্ডারের দিনবদল
অমাবস্যা, পূর্ণিমা, কালবৈশাখী, নিম্নচাপ
সব কিছু নিয়ম মাফিক হচ্ছে দেখেও
বলাইবাবু মনমরা, যেন কোথায় একটা ছন্দপতন।
বয়সের ভারে কম শোনেন, কম দেখেন, কম বলেনও, পরিমার্জিত আহার, নিদ্রা, ওষুধ পথ্য। স্ত্রী বিয়োগের পর বউমাই সব। অবসরের অনেক দিন কেটে গেলোএখন তার দিনও যা, রাতও তা। ওই থাকা, দিনগত পাপক্ষয় বলেন না
সব কবিতাগুলি সুন্দর। বহুদিন পর ভালো কবিতা পড়ে মন ভরে গেল।
উত্তরমুছুনলকডাউন কাব্য। ভাল লাগল
উত্তরমুছুনসুন্দর লাগলো
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো কবিতাগুলি..
উত্তরমুছুন