সঞ্জীব দে
পরবর্তী সারসংক্ষেপ।
আসঙ্গের নিস্তেজ নারীর শরীরের মতোন
পড়ে আছে
কিছু ফিল্মি ম্যাগাজিন বিছানায়।
এলো চুল, খোলামেলা শাড়ির আঁচল হয়ে
উড়ে যাচ্ছে পাতাগুলো ঘরময় পাখার হাওয়ায়,
তুমি অমনযোগী পুরুষ হয়ে
মোবাইলে শব্দ ছড়াও
প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় বাক্যালাপে ;
শুধু পড়ে থাকে অবহেলা,
শারীরিক মিলনের পরবর্তী সারসংক্ষেপ ।
ইতিহাস হওয়া যা কিছু
বিশ্বস্ত যা কিছু আজ বিবস্ত্র হয়ে পড়ছে।
কচুরিপানার, ঢেউয়ে নদীর ঘাটে এলোমেলো ভাবে পড়ে থাকা,
এখন গোধূলি, অস্তে যাওয়া সূর্য
ক্লান্তির ছটায় ;
এভাবেই ইতিহাস হওয়া যা কিছু,
জানতো না মোটে ঘটনাগুলো
কেউ যে পর্যবেক্ষণ করে যাচ্ছে।
সবই কি ভবিতব্য
দড়ি পাক খেতে খেতে বড় হয়
জীবন ও বেশ তাই !
কতো পথ কতো বার ঘুরে ঘুরে
লক্ষ্য চেনা, চেনা মানুষ, বাড়ে অভিজ্ঞতা ;
অজানা, কোন দড়ি
পুরীর রথের রশ্মি হবে ?
সবই কি ভবিতব্য !
তারাদের কল্পকথায়
ট্রেনে উঠে পড়েছি
বহুকাল আগেই
শহরে যাবার লক্ষ্যে ,
যদি ও বা এখনো কানে আসে
ঝোড়ো হাওয়ায় শাল সেগুন পাতার আওয়াজ।
বহুকাল হলো
অনেক নিরাপত্তারক্ষী ঘেরা আবাসনে ঠাই
নেওয়া,
তবু রাত হলে আজো চোখের সামনে
জ্বলজ্বল করে চোখ দুটো !
সেই ভোর রাতের জলজ্যান্ত সাদাকালো ছবি
আজো ভেসে ওঠে,
মা-বাবা কাঁকড়া ধরতে ব্যস্ত চড়ায় উপার্জনের আশায়,
আমি ভাসমান নৌকোয় -
হঠাৎ এক লাফ, বিশাল ওজনের থাবায়
মা --- বাবা'র ছিটকে যাওয়া !
ছিটকে যাওয়া এভাবেই,
আজো বিটুমিনের রাস্তায়
নদীর কলকলানি শব্দ শুনি
তারাদের কল্পকথায়।
ছায়ার করাল গ্রাসে।
একটা ছায়া ছায়া ভাব
ছড়িয়ে পড়ে দিগ্বিদিক
আমার বৃত্ত জুড়ে ;
এতো কেন ছায়া
মরিচীকার এই কালে
করোনা থেকে উমপুনের
ছায়ায় ছায়ায় ভরে যায়
গোটা দেশ, পৃথিবী ।
এখন মিগের ছায়া
গোটা গালওয়ান উপত্যকা জুড়ে
আবার রক্তপাতের ছায়া !
শহীদের রক্তের কালশিটে দাগ
লেগে থাকে শরীর জুড়ে
কফিনময় ছড়িয়ে যায়
পথ থেকে পথে,
দিন থেকে রাতে
শহর থেকে গ্রাম,
রাজ্যের জেলায় জেলায় ;
যেকোনো বিভাগে অপ্রকাশিত লেখা পাঠান
মতামত জানান
bimalmondalpoet@gmail.com
-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন