রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০

ছড়ার মেলা /পর্ব- ১






 উল্টোসিধে
 গৌতম হাজরা    

মেঘ যদি যায় মেঘ পাড়াতে
জল যদি যায় জলে,
মুখ দেখে কি বুঝবো আমি
রামবাবু কোন দলে।

আজ যদি হয় সবুজ মেরুণ
কালকে হলুদ লাল,
দিনের বেলায় হইহুল্লোড়
রাত্রে সে দেয় গাল।

হয় যদি সে অন্য মানুষ
স্বপ্ন দেখুক জেগে,
মাঞ্জা মেরে বাজার করুক
একটূও না রেগে।

এমন তেমন মানুষ হলে
কি আর যায় বলা,
উল্টোসিধে এমনধারায়
ধরন যে তার চলা।

উল্টোসিধে রামবাবুর ওই
মনটা কিন্তু সাদা,
দিনের বেলা সবার কাকু
সন্ধ‍্যে হলেই দাদা।



বৃষ্টির গান 
 সাতকর্ণী ঘোষ  










বৃষ্টি এলে নদীর জলে নাচন লাগে তা থইথই
নাচতে থাকে দুলতে থাকে সেই নদীতে নৌকো ব-ই
গাছের ওপর বৃষ্টি এলে সবুজ কেমন নাচে হই
এদিক ওদিক পাতারা সব আনন্দতে জাগে ওই

মাটির  'পরে বৃষ্টি এলে মাখামাখি নাচন তার
টুপটুপাটুপ জলের ফোঁটায় মাটির হৃদয় একাকার 
আমরা মানুষ বৃষ্টি এলে কেউ বা ভিজি কেউ পালাই
বৃষ্টি ভয়ে কাঁপে কে ওই ঘরের দরজা বন্ধ তাই

ময়ূর নাচে পেখম খুলি বাতাস তারই সঙ্গী হয়
চতুর্দিকে কল-কাকলি ব‍্যাঙের ডাকও মন্দ নয়
ছোট্ট খুকি  ছোট্ট খোকা নৌকো ভাসায় নন্দনে
তাদের মনে হিসেব-নিকেশ দাগ কাটেনা বন্ধনে

বৃষ্টি আসে বৃষ্টি যায়ও সাদা কালোর কোল ঘেঁষে 
বড়োরা নয় ছোটোরা সব আকাশ বুকে যায় মেশে। 


দুপুর
অংশুমান চক্রবর্তী

সবুজ পাতায় দুপুর লেগেছে, দুষ্টুমি জাগে মনে ইস্কুল ছুটি, খাই লুটোপুটি আম বনে, বাঁশ বনে। নেই কোনো জুড়ি, খুব জোরে ছুড়ি পুকুরের জলে ঢিল কচুরিপানার চাদর সরিয়ে মাছ করে কিলবিল। খুঁজি গাছে গাছে কোনখানে আছে শালিক পাখির ছানা প্রাণ ভরে দেখি, ধরতে ওদের বাবা করেছেন মানা। চোখের পাতায় হাওয়া ছুঁয়ে যায়, গাছ পেতে দেয় ছায়া যেদিকে তাকাই, ছড়িয়ে রয়েছে দিস্তা দিস্তা মায়া। পেরোই সময়, ধীরে আঁকা হয় অনন্ত নীরবতা ধুয়ে গেছে সুর, নিঝুম দুপুর, মনে পড়ে মা-র কথা। ফিরে আসি ঘরে, মা হেসে বলেন, 'ঘুম পেয়ে গেছে বুঝি?'-- বহুদিন বাদে স্কুল জীবনের দুপুরগুলোকে খুঁজি ...












কিশোর উপযোগী অপ্রকাশিত ছড়া পাঠান
মতামত জানান
   bimalmondalpoet@gmail. com      


২টি মন্তব্য: