এটাও কবিতা!
গড়িয়ে যাওয়া বিকেলের কবিতায় সান্ধ্যকালীন শঙ্খধ্বনির সুর থাকে!
বোষ্টমী দিদা, রহমান চাচা, রাজু মিস্ত্রি...
সবাই বাড়ি ফেরে আগামী দিনের রসদ আঁকড়ে ধরে!
দিদার ভিক্ষার ঝুলি, চাচার জাবরকটা বলদ দু'টো, মিস্ত্রি ভায়ের যন্ত্রপাতি -সব গদ্যময়!
রুকসানা নামতা পড়ছে...
মায়ের হাতে লক্ষীর পাঁচালী...
মধু যথারীতি মদ খেয়ে...
পার্টি অফিস থেকে জয়ধ্বনি...
কালকের জন্য গুছিয়ে নেওয়া,
শশীবাবুকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠানো হবে!
রাতের কবিতা!
এখন রাত গভীর
ঝিঁ ঝিঁ পোকা ঝিমিয়ে সব...
বলতে পারছি কই -
'এই রাত তোমার আমার!'
এখন রাত গভীর
সব ভালবাসা অনন্ত সুখে...
কেউ বলছে না -
'জাগতে রহো! "
এখন রাত গভীর
সব কবিতা তোমার গন্ধমাখা ...
তোমায় বলছি-
স্মৃতির আকুলতা!
বর্ষার জমা জলে কাগজের নৌকা,
ছিপ হাতে বোসপুকুরে...
আজও শিহরণ জাগায়!
খেলার মাঠে কাকভেজা বিকেল,
কাদামাখা ভূত-খেলোয়াড়...
টিউশানির ব্যস্ততায় মগ্ন!
ইস্কুলের প্রার্থনা সঙ্গীতে বেসুরোপনায় মধুমাস্টারমশায়ের কানমলা...
রিয়ালিটি শো ইনটেলেকচুয়ালিটির মাপকাঠি!
কেরিয়ার শিল্পের বেদমন্ত্র-" অনলাইনে থাকো!"
কালনিদ্রা!
অনবরত পদচারণা ত্রস্তগতিতে,
এদিক ওদিক নজর-
মুখগুলো কেমন যেন চিন্তার মোড়কে!
অস্বস্তিকর বাতাবরণে শান্তি বিঘ্নিত,
স্বাধীনতার ক্যানভাসে হুকুমনামার বিভৎস আঁচড়!
ত্রাণের লাইন সঙ্ঘবদ্ধ, এদিকে তাকাও-
ক্লিক্! ক্লিক্!!
কবিতার নীরবতা!
চলো আকাশপথে -
এ বাতাস বিষাক্ত, এ বাতাস রক্তাক্ত
বাতাবরণে ভালবাসার আর্তনাদ!
সব শব্দের চিতার আগুনে কবিতা জ্বলছে...
আমাকে তুলি দাও,
ভালো লাগলো স্যার ।
উত্তরমুছুন